ছবি দেখিয়ে বিজেপির দাবি, এসএমএইচ মির্জার মতো পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করতে হবে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, তৃণমূলের নেতাদের জন্য টাকা তোলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় অফিসার মির্জা। তাঁকে সাসপেন্ড করতে হবে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জন্য বারবার ফোন করা হলেও, ফোন ধরেননি আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। অভিযোগ উড়িয়ে স্বপন দেবনাথের পাল্টা প্রশ্ন, মন্ত্রী কে হবেন তা কি মির্জা ঠিক করেন? মন্ত্রী তো দল ঠিক করে।
উড়ালপুল বিপর্যয়ে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং তাঁর দফতরের অধীনস্থ সংস্থা কেএমডিএ-র দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজে সেই কেএমডিএ-র টেন্ডার নিয়ে, ফিরহাদ হাকিমকে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির। নারদ নিউজের এই স্টিং ফুটেজকে হাতিয়ার করে, ফিরহাদ হাকিমের শাস্তির দাবিতে সরব বিজেপি।
বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এতবড় ব্রিজ ভেঙে পড়ল, সরঞ্জামের টাকা তো মন্ত্রীদের পকেটে যাচ্ছে। সব চুক্তির ৫০% টাকা ঘুষ দিতে চলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইছি। টেন্ডার নিয়ে কোনও কনসার্ন নেই। সীমাহীন দুর্নীতি। এরজন্য ফিরহাদ হাকিমকে শাস্তি পেতে হবে বলেও দাবি তোলেন তিনি। শুধু উড়ালপুল বিপর্যয়ই নয়, বিজেপির দাবি, নারদের স্টিং ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের সময় কেন্দ্রপিছু ১ কোটি টাকা খরচের কথা স্বীকার করেছেন ফিরহাদ হাকিম। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য বারবার ফোন করা হলেও, ফোন ধরেননি ফিরহাদ হাকিম।
শুধু ফুটেজ প্রকাশ করাই নয়, এই নিয়ে সোজা নির্বাচন কমিশনেও হাজির হয় বিজেপি। আজ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে দরবার করে বিজেপি দাবি করে, এস এম এইচ মির্জার সঙ্গে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের আঁতাত রয়েছে। তাই নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ থেকে দূরে রাখা হোক এই পুলিশকর্তাকে। তাদের আরও দাবি, রাহুল সিংহকে ফাঁসাতে পাল্টা স্টিংকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁর নির্দেশেই ঘুষ দিতে রাহুল সিংহের কাছে ২ পুলিশকর্মী গিয়েছিলেন। বিজেপির দাবি, রাজীব কুমারকে অবিলম্বে অপসারণ করা হোক। বিজেপি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ।