কলকাতা: অমর্ত্য সেনকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, আমাদের একজন নোবেল পেয়েছেন, বাঙালি। কী করেছেন, বাংলার কেউ বোঝে না। উনি নিজেও বোঝেন কিনা, সন্দেহ আছে। কী দিয়েছেন দেশকে? কী করেছেন উনি?

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বেশ কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রকাশ্যেই আপত্তি প্রকাশ করেছেন অর্মত্য সেন। সাম্প্রতিককালে মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে তা জনজীবনে আঘাত নেমে আসার সামিল বলেও অভিমত জানিয়েছেন।

ফাইল ছবি।

এই প্রেক্ষাপটেই তাঁকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ টেনে এনেছেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অমর্ত্য সেনের সরে যাওয়ার প্রসঙ্গ।
২০১৫-র ফেব্রুয়ারিতে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে ইস্তফা দেন অমর্ত্য সেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি থেকেও সরিয়ে দেওায়ায় তাঁকে। এই প্রসঙ্গ তুলেও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে বেনজির আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ওনাকে নালন্দার উপাচার্য থেকে হটানো হয়েছে, খুব কষ্ট হচ্ছে!
বাঙালি যাঁকে নিয়ে গর্ব করে, সেই অমর্ত্য সেন সম্পর্কে তিনি আরও বলেছেন, যাদের কোনও মেরুদণ্ড নেই, চরিত্র নেই, এরকম লোকের জন্য আজ বাঙালির গর্ব হচ্ছে! এদের কেনা যায়, বিক্রি করা যায়! চমকানো যায়! পায়ে পড়ে যায়।
প্রত্যাশিত ভাবেই দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ হচ্ছে নানা মহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্যের তথ্যগত ত্রুটি দেখিয়ে বলেন, অমর্ত্য সেন ওখানকার উপাচার্য ছিলেন না। কৃষ্ণা বসু, সুকান্ত চৌধুরির মতো শিক্ষা জগতের লোকজনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপির সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্য়োপাধ্যায়।