হিংসার রাজনীতি নিয়ে মমতাকে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়র
ABP Ananda, web desk | 04 Jan 2017 03:51 PM (IST)
কলকাতা: রোজভ্যালিকাণ্ডে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর সম্মুখসমরে তৃণমূল ও বিজেপি। গতকাল সুদীপের গ্রেফতারের পরই কলকাতায় বিজেপি-র রাজ্য দফতরে তৃণমূলের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজপথ।রাত কাটতে না কাটতেই সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ করল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি পর্যবেক্ষকের মন্তব্য। নাম করে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়! তাঁর মন্তব্য, বিজেপিও যদি হিংসার পথ নেয় তাহলে দেশের সর্বত্র ও দিল্লিতে যেতে পারবেন তো মমতা? গতকাল বিজেপি অফিসে তৃণমূলের বিক্ষোভের ঘটনায় ক্ষোভ ব্যক্ত করে বিজয়বর্গীয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে একহাত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, গতকালের ঘটনায় হাত গুটিয়ে বসেছিলেন পুলিশ কমিশনার। সারদাকাণ্ডের নথিপত্র তো রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানেই নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজয়বর্গীয়র তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। নোট বাতিলের প্রতিবাদ করায় কেন্দ্র প্রতিহিংসাবশত তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করছে বলে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এই অভিযোগ খারিজ করে বিজয়বর্গীয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘তৃণমূল তাঁদের দলীয় কর্মী ও দলের অফিসের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালালে বিজেপি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। তাঁর কথায়, বিজেপি হয়ত পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী নয়। কিন্তু সারা দেশে আমরা শক্তিশালী দল। দিল্লির বিজেপি কর্মীরা যদি তৃণমূল সাংসদদের দিল্লিতে ঢুকতে না দেয়, তাহলে কি তাঁরা দিল্লিতে ঢুকতে পারবেন? এর উত্তর না। সারা দেশেই বিজেপি কর্মীরা যদি বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাহলে মমতা কি সারা দেশে নির্বিঘ্নে ঘুরতে পারবেন?কাজেই হিংসার পথ গ্রহণ করা উচিত নয়।’ কিন্তু মঙ্গলবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে তো লাঠি হাতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি কর্মীদেরও! এই প্রশ্নে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার হুঙ্কার, ‘আমরা গাঁধীজির দল নই যে এক গালে মারলে, আর এক গাল বাড়িয়ে দেব, আমরা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দল’। বিজয়বর্গীয়র এই হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, সংবিধান বহির্ভূত কথা বলছেন বিজেপি নেতা। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন পার্থ।