কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও রোহিঙ্গা শরণার্থী এদেশে প্রবেশ না করতে পারে তার জন্য সতর্ক বিএসএফ।


বৃহস্পতিবার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ-সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংবেদনশীল ও অরক্ষিত অঞ্চলগুলিকে চিহ্নিত করে নিরাপত্তা-ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।


এদিন বাহিনীর আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) পিএসআর আনাজানেয়ুলু বলেন, আগে আমরা এমন (যেখান থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ হয়ে এদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান) ২২টি সংবেদনশীল অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছিলাম। এখন সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা হয়েছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।


তিনি যোগ করেন, ওই অঞ্চলগুলি মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় রয়েছে। আইজি-র মতে, কম সুরক্ষিত জায়গাগুলির মধ্যে পেট্রাপোল, জয়ন্তীপুর, হরিদাসপুর, গোয়ালপাড়া ও তেঁতুলবেড়াই অন্যতম।


বাহিনীর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, গত কয়েক বছরে তারা ১৭৫ জন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করার সময় পাকড়াও করেছে। এর মধ্যে চলতি বছরেই ধরা পড়েছে ৭ জন।


নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি, স্থানীয় সূত্রগুলিকে আরও জোরদার করার কাজ চালাচ্ছে বিএসএফ। রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গেও সমন্বয় রাখছে বিএসএফ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ৪,০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে ভারতের। এরমধ্যে, ২,২১৬ কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে।


প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা জমা দেয়, সেথানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে সরকার দাবি করেছিল, তারা (রোহিঙ্গা) দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।