কলকাতা: ভোটের প্রচারে এই প্রথম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যাদবপুর, টালিগঞ্জ ও কসবার প্রার্থীকে নিয়ে রোড শো করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ঢাকুরিয়া থেকে গড়িয়া পর্যন্ত এই মিছিলে বামেদের সঙ্গী হল কংগ্রেসও।

 

কারও আবদার ছিল সভা। কারও রোড শো।

অনুরোধের পাহাড় জমছিল আলিমুদ্দিনে। কিন্তু সে সব আর উপেক্ষা করতে পারলেন না তিনি। দলকে চাঙ্গা করতে ভোটপর্বের মধ্যেই পথে নামলেন.......

রাজপথ হল লালে-লাল.....

 

কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য আরও একবার দেখল সিপিএম ‍ কর্মীদের যাবতীয় আবেগ এখনও তাঁকে ঘিরেই.......তিনি মানেই জনস্রোত....তিনি মানেই উন্মাদনা....

 

শুধু সিপিএম কর্মী কিংবা সমর্থকরাই নন, রোড শোতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ঘিরে উৎসাহ দেখা যায় পথচলতি মানুষের মধ্যেও.....কেউ সেলফি তুলেছেন...কেউ তাঁকে মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছেন।

 

ঢাকুরিয়া থেকে গড়িয়া। ৬ কিলোমিটারের যাত্রাপথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি যত এগিয়েছে, ততই দীর্ঘ হয়েছে মিছিল। বুদ্ধদেবের রোড শোতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে লাল আর তেরঙ্গা ঝাণ্ডা....

 

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, বুদ্ধদেবের এই ভোটপ্রচার ডিভিডেন্ট আনবে তাঁদের ভোটবাক্সে।

 

শরীর সেভাবে সঙ্গ না দেওয়ায় দূরবর্তী জেলাগুলোতে এখন আর যেতে পারেন না। কিন্তু, ভোটের টান আটকানো কঠিন। তাই অসুস্থ শরীরেই লালপথে সিপিএমের কাণ্ডারী। কলকাতায় বসে দিল্লিতে কারাটদের সঙ্গে লড়ে জোটের ছাড়পত্র ছিনিয়ে এনেছেন। এবার কঠিন লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেন, কি না, সেই উত্তর মিলবে ১৯ মে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মুখে স্বীকার না করলেও, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যে আজও তৃণমূলের কাছে ফ্যাক্টর, তার প্রমাণও মিলেছে। এদিন যে পথে নেমেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সকাল থেকেই সেই রাস্তায় তাঁর কার্টুন সম্বলিত পোস্টার লাগিয়ে দেয় শাসক দল। জমায়েত করে গড়িয়া মোড়ে।