কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক ভোটে সিপিএমের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। বিভিন্ন মহলে দাবি উঠছিল, এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অন্তত বৃদ্ধতন্ত্রের অবসান ঘটাক আলিমুদ্দিন। সামনে আনা হোক নতুন মুখ। কিন্তু, এই প্রেক্ষাপটেও নবগঠিত রাজ্য কমিটি থেকে প্রবীণ হেভিওয়েটদের পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সাহস দেখাতে পারল না আলিমুদ্দিন। অব্যাহতি দিয়েও অনেককেই ঘুরপথে রেখে দেওয়া হল আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে।
এই তালিকায় রয়েছেন-- বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, অসীম দাশগুপ্ত, বাসুদেব আচারিয়া, দীপক সরকার, শ্যামল চক্রবর্তী, মদন ঘোষ, নিরুপম সেন এবং কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। ৮০ জনের রাজ্য কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়ে গিয়েছেন ৭৭ বছর বয়সী বিমান বসুও।
এই তালিকা দেখে পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, সিপিএম রয়ে গেল সেই পুরনো সিপিএমেই! এত বিপর্যয়ের পরও তা থেকে তারা শিক্ষা নিল কোথায়? বৃদ্ধতন্ত্রকে ঘুরপথে রাজ্য কমিটিতে রেখে দেওয়ার মধ্যে কি আদৌ কোনও রাজনৈতিক যুক্তি আছে, না কি কেউ যাতে অসন্তুষ্ট না হন, তা নিশ্চিত করতেই এই মধ্যপন্থা? যে বিমান বসুদের নেতৃত্বে ২০১১, ২০১৪ এবং ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে তাঁদের রেখে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
বৃদ্ধতন্ত্রের রমরমা বজায় রেখেই সিপিএম এখনও পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্যের আশা করছে। সূর্যকান্ত মিশ্র এদিনও ফের নাম না করে কংগ্রেসকে জোট-বার্তা দিয়েছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্ন, শুধু ঘুরপথে জোট করে কি সিপিএমের পক্ষে তৃণমূল-বিজেপিকে আটকানো সম্ভব হবে? সেজন্য তো চাই সংগঠন। নতুন মুখ। তরুণ প্রজন্ম। সেটা না হলে কি আদৌ কাজের কাজ কিছু হবে?