কলকাতা: প্রশিক্ষিত না অপ্রশিক্ষিত? প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কারা পাবেন সুযোগ? উত্তর মিলবে বুধবার।
কেন্দ্রের দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ৩১ মার্চ। তাই প্রশিক্ষণহীনদের প্রাথমিকে নিয়োগে আর যেন সময় দেওয়া না হয়, এই আবেদন জানিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষ হয়েছে আগেই। বুধবার রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি সি এস কারনান।
কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে, প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। প্রশিক্ষণ না থাকলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাতেই বসা যায় না।
কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণহনদেরও সুযোগ দিতে ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ কেন্দ্রকে চিঠি লেখে রাজ্য। উত্তরে কেন্দ্র জানায়, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রাথমিকে প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
এরই মধ্যে গত বছর ১১ অক্টোবর নেওয়া হয় টেট পরীক্ষা। পরীক্ষায় বসেন প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী। কিন্তু কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নিয়োগ হয়নি। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, আর যাতে নতুন করে প্রশিক্ষণহনদের সময় দেওয়া না হয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা।
রাজ্যকে আদালত নির্দেশ দেয়, কেন্দ্রকে পাঠানো চিঠির প্রতিলিপি জমা দিতে। কিন্তু সময় মতো তা দাখিল করতে না পারায় আদালতে ভর্ৎসিত হয় রাজ্য। শুনানি চলাকালীন টেট-এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত জানতে চায়, প্রশিক্ষিত এবং অপ্রশিক্ষিতরা কি এক? এঁরা কী করে একই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন? প্রশিক্ষিতদের অধিকারকে কখনও খর্ব করা যায় না। শিক্ষার মান পড়ছে, শিক্ষক নিয়োগ খুব জরুরি।
পাশাপাশি, রাজ্যের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির স্বীকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। দীর্ঘ আইনি লড়াই, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ, বুধবার রায় ঘোষণা করবে আদালত। নির্ধারিত হবে ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভাগ্য।