কলকাতা: সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত এক যুবকের আধার কার্ডের মামলায় কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করল কলকাতা হাইকোর্ট।
সনত্‍ কুমার মৈত্র। বাড়ি বেহালার কৈলাস ঘোষ রোড। বছর ২৭-এর এই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, বার বার বিভিন্ন আধার কেন্দ্রে গিয়েছেন, নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন, চিঠি লিখে আধারকার্ড সেন্টারের কর্মীদের বাড়িতে আসতে বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। এখনও হয়নি আধার কার্ড। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করেছেন মামলা। আবেদনকারীর বাবা সমরকুমার মৈত্র বলেন, দরজায় দরজায় ঘুরেছি, কার্ড পাইনি। মা নুপূর মৈত্র বলেন, আশা করি ছেলে যেন বিচার পায়।
মামলার শুনানিতেই বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীকে বলেন, আধার কার্ডের জন্য মানুষ কেন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন? সেরিব্রাল পসতিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কার্ড করে দেওয়া উচিত। করছেন না কেন? যেখানে কেন্দ্র বারবার বলছে, সব কিছুতে আধার বাধ্যতামূলক, সেখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হবে কেন? আমরা যদি বলি, আবেদনকারীর আধার কার্ড এখনই বানিয়ে দিন, পারবেন?
কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, আমাদের সফটওয়ার আপডেট করতে হবে। সে কারণে ২ মাস সময় লাগবে। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করে বিচারপতি বলেন, আপনারা একজনের আধার কার্ডের জন্য ২ মাস সময় চাইছেন, অথচ কেন্দ্র বলছে এখনই আধার কার্ড বানান! সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্তকে কেন আসতে হবে হাইকোর্টে? কত দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কার্ড করতে পারবেন জানান।
আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই আদালতের সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে কেন্দ্রকে।