কলকাতা: ভাগাড়ের মাংসকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার হল নারকেলডাঙার হিমঘরের মালিক বিশ্বনাথ গড়াই ওরফে বিশু। ধৃতকে জেরা করে ভাগাড়ের মাংস মজুত করা একাধিক হিমঘরের হদিশ মিলেছে। সেই মাংস সরবরাহ করা হত মানিকতলা, তপসিয়া, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, টিটাগড়ের বিভিন্ন বাজার, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে।


জানা গিয়েছে, ধরা পড়ার আশঙ্কায় সরবরাহের সময় ভাগাড়ের মাংসের উপর চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রেখে দেওয়া হত। গতকাল রাতে সোনারপুর থেকে সিটের হাতে গ্রেফতার হয় ভাগাড়ের মাংসকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বিশ্বনাথ। মাংসের প্রসেসিং থেকে শুরু করে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সঙ্গে যোগাযোগ- ধৃত হিমঘরের মালিক এই সব কিছুর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি।

তবে মাংসকাণ্ডে এখনও খোঁজ নেই নারকেলডাঙার বরফকলের মালিকের। পুলিশ নিশ্চিত, নারকেলডাঙার বরফকলের ভিতরে যে হিমঘর ছিল, সেখানে মৃত পশুর মাংস রাখা হত। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বরফকলে আনার পর ভাগাড়ের মাংসের কারবার চালাত বরফকলের মালিক আশিস ঝুনঝুনওয়ালা। এদিকে, মাংসকাণ্ডে সংগৃহীত মুরগির পচা মাংসের নমুনা আজ পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মাংস অন্য কোনও পশুর নাকি, মুরগির তা জানতে এবং তাতে কোনও রাসায়নিক মেশানো হয়েছে কিনা, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা হচ্ছে। মৃত মুরগির কারবারি মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি এখনও বেপাত্তা।