ঝিলম করঞ্জাই,কলকাতা: আগের থেকে অনেক ভালো আছেন ৯৬ বছরের নারায়ণ দেবনাথ। অ্যান্টিবায়োটিকে সাড়া মিলছে। তবে কোর্স সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আরও কিছুদিন তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হবে। আপাতত রয়েছেন বেলভিউ ক্লিনিকের আইসিইউতেই। বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’-এর সৃষ্টিকর্তা এখন বিপদমুক্ত।


চিকিৎসক সমরজিৎ নস্কর-সহ পরিবারের সকলের সঙ্গেই স্বাভাবিক কথোপকথন করছেন নারায়ণ দেবনাথ। আরও এক সপ্তাহ তাঁর হাসপাতালে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলভিউ ক্লিনিকের সিইও প্রদীপ ট্যান্ডন।



ফুসফুসের সংক্রমণ-সহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ২৯ জানুয়ারি থেকে বেলভিউ ক্লিনিকে ভর্তি নারায়ণবাবু। ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসক সমরজিৎ নস্করের তত্ত্বাবধানে। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমে শ্বাসকষ্ট প্রবল থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ হয়। অ্যান্টিবায়োটিক স্যালাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। কাজ হচ্ছে। পুরো কোর্স শেষ হতে আরও কয়েকদিন লাগবে।’’



তবে বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’-এর সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগে নারায়ণ দেবনাথের হাসপাতালের বিছানায় বসে ‘বাঁটুল দি গ্রেট’-এর ছবি আঁকার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিয়োয় দেখা যায়, অসুস্থতা ও বয়সের কারণে, ছবি আঁকার সময়ে নারায়ণবাবুর হাত কিছুটা কাঁপছে ঠিকই। তবে কার্টুনের রেখায় এখনও ভুল হয়নি। জানা গিয়েছিল, তাঁর মস্তিষ্কের সক্রিয়তার পরীক্ষা করতে হাসপাতালে বসেই বাঁটুলের ছবি আঁকতে বলেছিলেন চিকিৎসক। আজ অবশ্য ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘হাঁদা ভোঁদা’, ‘নন্টে ফন্টে’-এর সৃষ্টিকর্তার শারীরিক উন্নতি নিয়ে সন্তুষ্ট চিকিৎসকরা। আশা করছেন দিন সাতেকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।