কলকাতা: কয়লা কাণ্ডে এই প্রথম কোনও আইপিএস অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আজ সকালে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার তথাগত বসু। এর আগে তিনি হুগলির জেলাশাসক ছিলেন।

কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ এখনও পায়নি সিবিআই। তবে ৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে।  রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর ২টি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছোত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযানের সময় বিনয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে ৩১ তারিখ হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিংহ ও নবীন সিংহের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।

এর আগে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি সহ বিএসএফের ৪ অফিসারকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ওই চারজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়া ছিলেন ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট এবং একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এঁদের নাম উঠে আসে, তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে এই মামলায় বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও আত্মসমর্পণ করেছে।