কলকাতা: টোল দেওয়ার জন্য অনলাইন ব্যবস্থা ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করার সময়সীমা বাড়ল। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। ওই সময়ের মধ্যে সব গাড়িতে ফাস্ট্যাগ লাগাতে হবে।
ফাস্ট্যাগ কী? কীভাবেই বা তা কাজ করে?
গাড়ির ডিজিটাল তথ্য সম্বলিত ট্যাগ বা পাতলা কার্ড হল ফাস্ট্যাগ। এই ফাস্ট্যাগ গাড়ির সামনের উইন্ড স্কিনে লাগানো থাকে। টোল প্লাজায় গেট-এ লাগানো সেন্সর ফাস্ট্যাগ রিড করবে। এরপর ট্যাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেট থেকে কেটে নেওয়া হবে টাকা।
এই পদ্ধতিতে টোল প্লাজায় গাড়ি দাঁড় করাতে হবে না। চলন্ত গাড়ির ওয়ালেট থেকেই কেটে নেওয়া যাবে টোল। তবে এখনও রাজ্যের সব গাড়িতে ফাস্ট্যাগ লাগানো নেই।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, নতুন গাড়ি তৈরির সময় এই ট্যাগ লাগানো বাধ্যতামূলক।
গাড়ি নির্মাতা সংস্থাই সেই দায়িত্ব নেয়। পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ট্যাগ লাগাতে হবে গাড়ির মালিককে।
একটি ফাস্ট্যাগ পাঁচ বছরের জন্য চালু থাকবে।


এই ফাস্ট্যাগ কাজ করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তিতে। ট্যাগ এর ওয়ালেট ব্যাঙ্কে গিয়ে রিচার্জ করানো যায়। আবার নেট ব্যাঙ্কিং বা অন্য ব্যবস্থার মাধ্যমে রিচার্জ করানো সম্ভব।
শনিবার ধূলাগড় টোল প্লাজায় দেখা গেল ফাস্ট্যাগ এর জন্য দীর্ঘ লাইন। ফাস্ট্যাগ লাগানো গাড়ির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজায় আলাদা লেন এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে গাড়িচালকদের অভিযোগ, সব সময় টোল প্লাজার গেটের সেন্সর ঠিকমতো কাজ করছে না। তখন কর্মীদের হাতে সেন্সর নিয়ে ট্যাগ স্ক্যান করতে হচ্ছে। এতে সময় লাগছে বেশি। দ্রুত গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।

ফাস্ট্যাগ না থাকলে টোল প্লাজাতেও তা লাগানোর ব্যবস্থা থাকবে। তবে লেন ভাঙলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থাও থাকছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফাস্ট্যাগ-এর লেনে ট্যাগ ছাড়া কোনও গাড়ি ঢুকে পড়লে দ্বিগুণ টোল দিতে হবে।