কলকাতা: এবিভিপি-র সিনেমা ঘিরে রণক্ষেত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আয়োজকদের সঙ্গে পড়ুয়াদের হাতাহাতি। আহত বেশ কয়েকজন। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে দুর্বব্যবহার, শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অনুমতি বাতিল সত্বেও কীভাবে দেখানো হল ছবি? প্রশ্ন উঠছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই ক্যাম্পাসে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।


ফের রণক্ষেত্রে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এবিভিপি-র উদ্যোগে সিনেমা দেখানোকে ঘিরে উত্তাল ক্যাম্পাস। আয়োজকদের সঙ্গে হাতাহাতি।



বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘বুদ্ধ ইন এ ট্রাফিক জ্যাম’ নামে একটি ছবি প্রদর্শনের জন্য কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম ভাড়া নেওয়া হয়। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সহযোগিতায় ওই প্রদর্শনীর আয়োজকদের অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে সেই অনুমতি বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ অনুমতি বাতিল করা পরেও শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে ছবিটি দেখানোর আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ।



ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
প্রতিবাদে পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীকে কালো পতাকা দেখান পড়ুয়ারা।

তা সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয় ছবির প্রদর্শনী। পাল্টা একটি ছবির প্রদর্শনী শুরু করেন পড়ুয়ারাও।
শুরু হয় বিক্ষোভ, স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

ছবি শেষ হতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। আহত হন বেশ কয়েকজন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, শ্লীলতাহানি করা হয়েছে ছাত্রীদের।

অভিযোগ অস্বীকার করে এবিভিপি। ক্যাম্পাসে পাল্টা মিছিল শুরু করে তারা।



পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে আসেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার।

ক্যাম্পাসে আসেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, স্থানীয় কাউন্সিলর তিস্তা দাস।সহ অনেকে। যাদবপুর থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে দায়ের করে দু’পক্ষ।

কিন্তু অনুমতি বাতিল করা সত্বেও কাম্পাসে কেন দেখানো হল ছবি? কেন ফের অশান্ত হয়ে উঠল শিক্ষাঙ্গন? প্রশ্ন উঠছে।