কলকাতা:  মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার দিন আরও বেপরোয়া নকল সরবরাহকারীরা। পুলিশের নাকের ডগায় ধরা পড়ল দেদার টুকলির ছবি। গতকালের মতোই পর্ষদের প্রতিক্রিয়া, পরীক্ষা হয়েছে নির্বিঘ্নে, কোথাও কিছু হয়নি।


মালদা থেকে ইটাহার। প্রথম দিনের মতো মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও দেদার নকল সরবরাহের ছবি। দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ।

খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যম। পরে জেলাশাসকের নির্দেশে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে উদ্ধার করেন সাংবাদিকদের।

বুধবারের মতো আজও নকল সরবরাহের ছবি যেমন এক, তেমনি এক মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিক্রিয়াও।

এদিন ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। নতুন সিলেবাসে প্রথম মাধ্যমিক। প্রশ্নপত্র নিয়ে এদিনও কোনও অভিযোগ নেই পরীক্ষার্থীদের, দাবি পর্ষদের।

এবারের মাধ্যমিকে লিখিত পরীক্ষার ৪০ শতাংশই মাল্টিপল চয়েস এবং এক নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন। ফলে একদিকে, যেমন নম্বর তোলার হাতছানি, অন্যদিকে তেমনি আশঙ্কা হল কালেকশনের।

সেই কথা মাথায় রেখেই এবার প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে একজন অতিরিক্তি পরিদর্শক।

কিন্তু রাজ্যের আজকের ছবি প্রশ্ন তুলে দিল, নকল সরবরাহ আটকানো গেল কোথায়?

অনেকে বলেছেন, ছবিতে যেখানে দেখা যাচ্ছে নকল সরবরাহকারীদে দেদার দৌরাত্ম্য। সেখানে কলকাতায় বসে পর্ষদ কর্তা বলছেন, কিছুই হয়নি।

তাহলে কি কলকাতায় পৌঁছচ্ছে না জেলার খবর? নাকি, দেখেও দেখছে না পর্ষদ? প্রশ্ন উঠছে।