কলকাতা: শিশুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার পলাতক চিকিৎসক তপন বিশ্বাস। পাচার চক্রের সন্ধান মেলার পর থেকেই এই চিকিৎসকের খোঁজ শুরু করে সিআইডি। মেমারির শ্রীপল্লিতে আত্মগোপন করে ছিলেন চিকিত্‍সক। গতকাল রাতে তাঁকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে ৬দিনে শিশুর পাচারকাণ্ডে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮। ধৃতদের মধ্যে দু’জন চিকিৎসক এবং একজন হাতুড়ে।


গোয়ান্দা সংস্থা সূত্রে খবর, বাদুড়িয়ার নার্সিংহোমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। যেসমস্ত দম্পতিরা সেখানে আসতেন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করতেন। দম্পতিরা যাতে চিকিত্‍সার জন্য অন্য কোথাও চলে না যান তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল এই চিকিৎসকের ওপরেই। গ্রেফতারের পর থেকেই তাঁকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে খবর।

এর আগে শিশু পাচার চক্রের সন্ধান শুরু করে সন্তোষ সমান্ত নামে আরও এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে শিশুপাচার কাণ্ডের আর এক অভিযুক্ত বাসন্তী চক্রবর্তীকেও শনিবার গ্রেফতার করে সিআইডি।

বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরপুকুরের একটি হোম থেকে উদ্ধার হয় দশ শিশু। সেখানকার কর্মীদের জেরা করে জানা যায়, বিমল অধিকারী এবং তাঁর সহযোগী বাসন্তীই শিশুদের হোমে এনেছিলেন। শুক্রবার বিমল অধিকারীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কিন্তু পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বাসন্তী। তাঁর বাড়িতে গিয়েও খোঁজ মেলেনি।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। আটক করা হয় বাসন্তী চক্রবর্তীকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বাসন্তীর বাড়ি থেকেই নিজের অফিস চালাতেন বিমল অধিকারী।