কলকাতা: শিশুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার আরও দুই চিকিৎসক। এনিয়ে শিশুপাচারকাণ্ডে ১০ দিনে ২০ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। গতকাল বেহালার এক হাসপাতালের চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাস ও কলেজ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের চিকিত্সক দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সল্টলেকের বাসিন্দা চিকিৎসক দিলীপ ঘোষ বিজেপি-র রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। বিধাননগর পুর নির্বাচনেও বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই চিকিৎসক। তবে তিনি হেরে যান। তাঁকে ও বেহালার পর্ণশ্রীর বাসিন্দা চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাসকে গতকাল ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি নেতা চিকিত্সক দিলীপ ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁকে সাসপেন্ড করেছে দল। যদিও বিরোধীদের কটাক্ষ, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ দলে থাকাকালীনই শিশুপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গা বাঁচানোর কৌশল।
শিশুপাচার চক্রের অন্যতম চাঁই যে কয়েকজন চিকিৎসক, তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত সিআইডি গোয়েন্দারা। এর আগে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা জাকির মোল্লা অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ের সদ্যোজাতকে চিকিত্সার নামে ২০১৪ সালে কলকাতায় এনেছিলেন বাদুড়িয়াকাণ্ডে ধৃত চিকিৎসক তপন বিশ্বাস। এখানে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধৃত তপন বিশ্বাসকে জেরা করে খোঁজ মেলে দুই চিকিৎসক দিলীপ ঘোষ ও নিত্যানন্দ বিশ্বাসের।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় তেঁতুলিয়া মাঠ থেকে গতকাল উদ্ধার করা হয় ৩ সদ্যোজাতকে। কোথা থেকে কীভাবে শিশুগুলি ওখানে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই আজ নবান্নে সন্দেহজনক নার্সিংহোম ও হোমের তালিকা তুলে দেবে সিআইডি। তালিকায় কলকাতার ৪-৫টি নার্সিংহোমের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
শিশুপাচারকাণ্ডে স্থানীয় প্রশাসনকে সরকার পরিচালিত হোমগুলিতে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির উপরেও নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিশুকল্যাণ দফতরকে।