কলকাতা: মাদুরদহের ফ্ল্যাটে মিলেছিল আড়াই কোটি টাকা। সিআইডি-র দাবি, বাঁশদ্রোণীতে ভারতী ঘোষের স্বামীর পরিচিতর ফ্ল্যাটে মিলল ২ কোটি!
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাজির সোনা হাতানোর মামলায় ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা।
সিআইডি সূত্রে দাবি, সম্প্রতি ২টি ব্যাগে ওই টাকা নিয়ে রিকশয় করে বাঁশদ্রোণীতে ভারতীর স্বামীর পরিচিতের ফ্ল্যাটে যান ভারতী ঘোষের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী সুজিত মণ্ডল।
গোয়েন্দাদের দাবি, স্থানীয় রিকশওয়ালাদের জিজ্ঞাসাদ করে সুজিতের কথা জানা যায়। খুঁজে বের করা হয় ফ্ল্যাটের মালিককে। তারপর এদিন চালানো হয় তল্লাশি। ২টি ব্যাগে উদ্ধার হয় ২ কোটি ১ লক্ষ টাকা।
ভারতী ও তাঁর স্বামীর আইনজীবী পিনাকি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুরোটাই সাজানো ঘটনা। নোটিস পাঠিয়ে বুধবার এমএভি রাজুকে ফের ভবানীভবনে ডেকে পাঠায় সিআইডি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর বাঁশদ্রোণীর ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
নতুন অডিও বার্তায় সিআইডির দাবি খারিজ করার পাশাপাশি গোয়েন্দাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ভারতী ঘোষ। বলেন, এটা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ১০০ শতাংশ মিথ্যে কথা। আমিও সিআইডিতে অনেক বছর কাজ করেছি। আমি সিআইডির সব খোঁজখবর রাখি। সিআইডির ভেতরেও আমার লোক আছে। সকাল ৮টার সময় রাজুকে সিআইডি নোটিস করে ডেকেছেন। নোটিস পেয়ে রাজু গিয়েছেন। তাহলে যে বাড়িতে টাকা আছে, সেই বাড়ির চাবি কী তাহলে রাজু পকেটে করে নিয়ে গেল? এই যে আমি এসেছি, আমার পকেটে চাবি আছে, সেই চাবি দিয়ে খুললেই টাকা পেয়ে যাবে?
সিআইডি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া টাকার প্রায় সবই নতুন ৫০০ টাকার নোট। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে এল, সুজিত মণ্ডল ওই টাকা কোথা থেকে পেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।