কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে যোগ হবে টেস্ট ও একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর। প্রস্তাব উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার প্রতি ছাত্রদের মনোনিবেশ ও দ্বাদশের টেস্টের গুরুত্ব বাড়াতেই এই ভাবনা, জানালেন সংসদ সভাপতি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর, জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এখন একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হয় সংসদের প্রশ্নপত্রে নিজের স্কুলে। একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণির টেস্টও হয় নিজের স্কুলে। উচ্চমাধ্যমিক হয় শুধুমাত্র দ্বাদশের পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে। কিন্তু এবার স্কুলের পরীক্ষার জন্যও বরাদ্দ থাকছে নম্বর। যা প্রতিফলিত হবে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রস্তাব যাচ্ছে সরকারের কাছে।

এখন উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিষয়ে লিখিত পরীক্ষার পূর্ণমান ৭০। প্র্যাক্টিক্যালে বরাদ্দ ৩০। কলা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ ২০। লিখিত পরীক্ষার পূর্ণমান ৮০।

প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছে, প্রজেক্টের ৫ নম্বর ও প্র্যাক্টিক্যালের ৫ নম্বর এখানে নেওয়া হবে।

অর্থাৎ, একাদশের বার্ষিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট-এ প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের ভিত্তিতে নম্বর যোগ হবে উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে। দু’টি পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ নম্বর যোগ হতে পারে ৫, ৫ করে ১০।

কিন্তু কেন আচমকা এই ভাবনা সংসদের?

সংসদ সূত্রে খবর,  একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রতি মনোনিবেশ কমছে পড়ুয়াদের। গুরুত্ব হারাচ্ছে দ্বাদশের টেস্টও। এই ফাঁক পূরণ করতেই উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিটে স্কুলের পরীক্ষার নম্বর বরাদ্দের ভাবনা।

যারা আগামী দিনে উচ্চমাধ্যমিকে বসবে, সংসদের এই প্রস্তাব নিয়ে তারা কী ভাবছে? উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন ভাবনা বাস্তবায়িত হলে কতটা উপকৃত হবে পড়ুয়ারা? স্কুলের পরীক্ষায় মনোনিবেশ বাড়াতে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রতি মনোনিবেশ কমে যাবে না তো? আশঙ্কা শিক্ষামহলের একাংশের।

সিবিএসই দ্বাদশ ও আইএসসিতে প্র্যাক্টিক্যাল ও প্রজেক্টের জন্য নম্বর বরাদ্দ প্রায় উচ্চ মাধ্যমিকের মতোই। কিন্তু দিল্লি বোর্ডের ফাইনাল পরীক্ষায়, স্কুলের পরীক্ষার জন্য নম্বর নেই।

এই প্রেক্ষিতে কেউ কেউ উচ্চমাধ্যমিকের নয়া ভাবনায় সুবিধাই দেখছেন পড়ুয়াদের।

আরেক অংশ অবশ্য নয়া ভাবনা পূরণ হলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার চাপ বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।