কলকাতা: ‘মা জানো আমার বন্ধু একটা সিনেমা দেখতে যাবে। কিন্তু, ওই সিনেমাটা দেখলে কেউ আর বাঁচেনা..।’ সপ্তাহ খানেক মাকে হঠাৎই বলেছিল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র সৃজন চৌধুরী। শুনে মা চমকে উঠে বলেছিল, ‘এ কেমন কথা! ওকে সিনেমা দেখতে যেতে বারণ কর।’মা তখনও বুঝে উঠতে পারেননি, তাঁর জীবনে আর কদিন বাদেই কী বিপর্যয় নেমে আসতে চলেছে। বুঝতে পারেননি তাঁর ছেলে এভাবে তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে।
সৃজন চৌধুরী। বয়স ১৭। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সায়েন্সের ছাত্র। ক্লাস ইলেভেনের পড়ুয়া। বাড়ি কালীঘাটে। সোমবার রাতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ।
কিন্তু, হঠাৎ কী এমন হল যে সৃজন এই পথ বেছে নিল? তাঁর মা জানাচ্ছেন, সোমবার রাতে সৃজন তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন চায়। কিছুক্ষণ বাদে বলে আমি কেমিস্ট্রি পড়ব, এখন আর ডাকবে না।
অনেক্ষণ কেটে যাওয়ার পরও কোনও সাড়াশব্দ না মেলার পর, দরজা ভেঙে ঘর থেকে উদ্ধার হয় বছর সতেরর সৃজনের দেহ। তাঁর মার বক্তব্য, গত বুধবার তিনি জানতে পারেন, সৃজন স্কুলের জন্য বেরোলেও স্কুলে না গিয়ে, সিনেমা দেখতে গিয়েছে। তারপর থেকে কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিল সে। সারাক্ষণ মোবাইল ফোন নাড়াচাড় করত। মা দেখতে গেলেই লুকিয়ে ফেলত। তারপরই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
কিন্তু, কী এমন সিনেমা যা দেখার পর থেকে সৃজন পাল্টে গিয়েছিল? এর নেপথ্যে কী রহস্য? সৃজন যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত, কালীঘাট থানার পুলিশ সেটি পরীক্ষা করে দেখছে, কোন সূত্র বেরোয় কি না।