ভর্তির নামে কলেজে তোলাবাজি রুখতে আসরে মুখ্যমন্ত্রী, জয়পুরিয়া-মণীন্দ্রচন্দ্রে গিয়ে টাকা চাইলেই পুলিশে অভিযোগ জানান, বললেন পার্থ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 02 Jul 2018 06:01 PM (IST)
কলকাতা: প্রশাসনিক স্তরে কড়া বার্তার পরও কলেজে কলেজে ভর্তি নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ অব্যাহত।এই পরিস্থিতিতে সোমবার আচমকা কলেজ পরিদর্শনে গেলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সোমবার নবান্ন যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ আশুতোষ কলেজে যান এখানকার প্রাক্তনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন ভর্তি হতে আসা কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে। অনলাইনে কীভাবে ভর্তির কাজ চলছে, তারও খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি সাফ বলে দেন, টাকার বিনিময়ে কলেজে ভর্তি করলে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। যদিও আশুতোষের তিনটি বিভাগে ভর্তি হতে আসা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখানে তেমন কোনও অভিযোগ নেই, আমি দেখে গেলাম, মন্ত্রীদের বলেছি সারপ্রাইজ ভিসিট করুন, আমরাও ছাত্র রাজনীতি করেছি, গরীবদের সাহায্য করুন, মানবিক হন, যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দিন। বিরোধীদের গলায় অবশ্য এনিয়ে কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে। দিদিমণি নাটক করছেন। হাসপাতাল নিয়েও করেছেন একসময়ে, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, নবান্ন ছেড়ে কলেজে যেতে হলে অন্য কাজ করবেন কবে? কলেজে যাওয়ার আগে এদিন সকালে কালীঘাটের বাড়িতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেখানেও আলোচ্য বিষয় ছিল কলেজে ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগ। যদিও, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। কলেজে ভর্তিতে তোলাবাজির অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে জয়পুরিয়া কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তিতান সাহাকে। কিন্তু, সোমবারও জয়পুরিয়া কলেজের ভর্তি-তালিকায় নাম থাকা এক ছাত্রীর কাছে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন জয়পুরিয়া কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী। কথা বলেন কয়েকজন অভিভাবক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে। জানান, তোলাবাজির অভিযোগ উঠলে সরকার তা বরদাস্ত করবে না। তারপর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সত্যতা প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বরদাস্ত করা হবে না, মুখ্যমন্ত্রীও দেখছেন, অভিভাবকরা থানায় গিয়ে বলুন, অনলাইনেও অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। জয়পুরিয়া কলেজ থেকে বেরিয়ে মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেও তাঁর গলায় শোনা যায় একই হুঁশিয়ারি। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ থেকে শিক্ষামন্ত্রী যান সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। সোমবার থেকে বিভিন্ন কলেজের TMCP-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সংগঠনের সভানেত্রী জয়া দত্ত। যদিও বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন, এসব পদক্ষেপ নিতে এত দেরি কেন? ভর্তি প্রক্রিয়ার শুরু থেকে যখন এসব অভিযোগ উঠছিল, তখনই প্রশাসনিক ও দলীয় স্তরে এই তৎপরতা দেখানো হল না কেন?