কলকাতা: ‘পথ সচেতনতা’ প্রসারের লক্ষ্যে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে, মৌলালি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নিলেন তিনি। পদযাত্রায় সামিল অন্য মন্ত্রীরাও। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’। কলকাতা থেকে কোচবিহার। এই স্লোগানকে ভিত্তি করে প্রচার চলছে রাজ্যজুড়ে। সেই প্রচারকে আরও বেশি অংশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, রাখী বন্ধন উৎসবের দিন পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে মৌলালি মোড় থেকে তাঁর হাতেই পদযাত্রার সূচনা হয়। ছোট্ট বক্তৃতা শেষ করে পদযাত্রায় অংশ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুসজ্জিত পোশাকে পদযাত্রার একেবারে সামনে ছিলেন কলকাতার পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্টরা। এম জি রোড-ওয়েলিংটন-বৌবাজার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ। মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা ঘিরে সর্বত্রই উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝপথে বহু সাধারণ মানুষ এই পদযাত্রায় যোগ দেন। হাঁটতে হাঁটতেই, ডোরিনা ক্রসিংয়ে পুরসভার কয়েকজন সাফাইকর্মীর হাতে রাখি পরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলায় শেষ হয় কলকাতা পুলিশ আয়োজিত এই পদযাত্রা। এদিন কলকাতা প্রেস ক্লাবের পাশে একটি জলাশয়ের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতায় উঠে আসে, ‘সাবধানে চালাও, জীবন বাঁচাও’-এর লক্ষ্যের কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পদযাত্রায় যোগ দেন বিভিন্ন স্তরের জন প্রতিনিধিরা। মন্ত্রীদের পাশাপাশি হাঁটেন সংস্কৃতি জগতের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতে পাঁচ লক্ষ পথ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। এই পরিস্থিতিতে ‘পথ নিরাপত্তা আইন’ সংশোধন করে আরও কড়া আইন প্রণয়ন করতে চাইছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই ইস্যুকে একটি সামাজিক আন্দোলনের চেহারা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মতো নানা জনমুখী প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পথ দুর্ঘটনার মতো একটি সংবেদনশীল ইস্যুতে রাস্তায় নামলেন তিনি। লক্ষ্য, মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ।