কলকাতা:  অধ্যাপকদের মতো স্কুলশিক্ষকদের অবসরের বয়স এখনই ৬২ করার ভাবনা নেই সরকারের। বরং লক্ষ্য প্রাথমিকে তাড়াতাড়ি শিক্ষক নিয়োগ। জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও স্কুল পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ফের কল্পতরু সরকার।


কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পয়লা জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে বিধি।
এবার কি তাহলে স্কুলশিক্ষকদেরও অবসরের বয়স বাড়বে? অধ্যাপকদের মতো মিলবে কি ভাতা, স্বাস্থ্যবিমা? স্কুল শিক্ষক মহলে শুরু জোর জল্পনা।

সেই জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, স্কুল শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এখনই অবসরের বয়স বাড়ানোর ভাবনা নেই সরকারের।
অধ্যাপকদের অবসরের বয়স ৬২ হলেও, স্কুলের ক্ষেত্রে এখনই নয় কেন?

এ প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কলেজে অবসরের বয়স ৬২ করা হয়েছে কারণ, পিছনের দরজা দিয়ে ৬৫, এমনকী ৭০ বছরেও অবসর নিচ্ছেন অনেকে। এর যথেচ্ছ ব্যবহার যাতে না হয়।

শনিবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্কুল শিক্ষকদের জন্যও সম্মেলন করা হবে। সরকারি সূত্রে খবর,

মার্চের পর স্কুল শিক্ষকদের নিয়ে সম্মেলনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে স্কুলস্তরে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি থাকায় প্রতিনিধিত্বমূলক সম্মেলন হতে পারে।

স্কুলশিক্ষকদের বিষয়ে এখনই দরাজ না হলেও পড়ুয়াদের ব্যাপারে কল্পতরু সরকার।
এখন স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে সাইকেল, জুতো, পাঠ্যবই এমনকী মাধমিকের টেস্ট পেপার। ইতিমধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে স্কুলছাত্রীদের। এরপর সরকারের পরিকল্পনা....

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দেওয়া হবে ব্যাগ। অষ্টমের পর উঁচু শ্রেণিতে দেওয়া হবে মোটা খাতা।

শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, স্কুলস্তরে পড়াশোনার মান যথেষ্ট নিম্নমানের।
একাধিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কোথাও ঠিকঠাক বাক্য গঠন করতে পারে না সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া, কোথায় শিক্ষকদের একটা বড় অংশের মধ্যে পড়ানোর মানসিকতা নেই। তারওপর রয়েছে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও প্রশিক্ষণের অভাব।
তাই, স্কুলস্তরে শিক্ষার হাল ফেরাতে এই সব সমস্যার সামাধান অত্যন্ত জরুরি বলে মত শিক্ষা মহলের একাংশের।