কলকাতা: তৃণমূল তোষণের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। কলকাতায় এসে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনই তোপ দাগলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগকে হাতিয়ার করে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, তখন রাজ্যে এসে পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন অমিত শাহ। বুধবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, তৃণমূল তোষণের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আক্রোশ রয়েছে। তিনি যোগ করেন, কেউ কল্পনা করতে পারে, দুর্গাপুজোর বিসর্জনের জন্য হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিতে হবে?
শুধু প্রেস ক্লাব নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে গিয়েও ফের একই হুঙ্কার ছাড়েন অমিত শাহ। বলেন, তোষণের রাজনীতি থেকে মুক্তি দেবে বিজেপি। মোদীর বিকাশযাত্রার একটাই মন্ত্র। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ। বিজেপি সভাপতির দাবি, বিজেপি সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু ভাগ করে না। উন্নয়নের প্রশ্নে সবাইকে একত্রিত করে। পাল্টা নকশালবাড়িতে দলিতের ঘরে মধ্যাহ্নভোজ এবং সংখ্যালঘু সমর্থকের বাড়ি থেকে বুথ চলো কর্মসূচির সূচনা নিয়ে অমিত শাহকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কে তোষণ করছে? নিজেই তো দলিতের বাড়িতে খেলেন। সংখ্যালঘুর বাড়িতে গেলেন।
লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে এসে সারদা, নারদের মতো ইস্যু নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এদিনও ফের সেই পুরনো অস্ত্রে শান দিয়েছেন অমিত শাহ। বলেছেন, সততার নামে দুর্নীতির বাড়বাড়ন্ত। সারদা হোক বা নারদ, তৃণমূল নৈতিকভাবে জবাব দেওয়ার মতো জায়গায় নেই। বাংলার মানুষ জবাব চায়।
বাবরি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশকে হাতিয়ার করে অমিত শাহকে পাল্টা খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিম কোর্ট তো বাবরি নিয়ে বলেছে। তাদের নেতারা পদত্যাগ করেছেন? নিজেও তো অনেক কিছুতে জড়িয়েছেন। এতে কিছু যায় আসে না।
সব মিলিয়ে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী পালন ঘিরে রাজ্যে মেরুকরণ ইস্যুতে যে তরজা মাথাচাড়া দিয়েছে, অমিত শাহর রাজ্য সফর তা-ই আরও উস্কে দিল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।