হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা বছর বিরাশির ব্যক্তি। পরিবারের দাবি, পেসমেকারের সমস্যা নিয়ে ১০ অক্টোবর আলিপুরের বিএম বিড়লা হাসপাতালে যান।সেখানে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর রোগীকে কোভিড চিকিৎসার জন্য সিএমআরআইতে স্থানান্তর করা হয়।
রোগীকে স্থানান্তর করতে ব্যবস্থা করা হয় একটি বেসরকারি সংস্থার অ্যাম্বুল্যান্সের।
পরিবারের দাবি, বিএম বিড়লা থেকে সিএমআরআই হাসপাতাল...এই ৩০০ মিটার যেতে তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৬ হাজার টাকা।
করোনা রোগীর আত্মীয় বলেছেন, বিএম বিড়লা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাচ্ছিলাম না, ওখানকার লোকই একটা নম্বর দিলেন। ৬ হাজার টাকা লাগবে বললেন। বললাম, কী বলছেন!
৬ হাজার টাকা নেওয়ার কথা মেনে নিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের কর্মীও। তাঁর বক্তব্য, আসলে কোভিড রোগী তো, আমি তো আপারেট করি, আউট সাইড ভেন্ডার, আমরা তো ভাল পরিষেবা দেই, তাই চড়া ভাড়া।
এই প্রথম নয়, করোনাকালে একাধিকবার লাগামহীন অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ এসেছে, এই প্রেক্ষাপটে এদিন অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেছেন,
বেসরকারি হাসপাতালের যে রেগুলেটরি কমিটি রয়েছে, তাঁদের বলেছি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া কম করার কথা।
করোনা মহামারীর সময় লাগামহীন অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া নিয়ে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারগুলিকে অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া বেঁধে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।তারপরও বারবার উঠছে বেলাগাম অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ।