ঝিলম করঞ্জাই,কলকাতা: একদিকে দেশজুড়ে চলছে করোনার টিকাকরণ। অন্যদিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে সংক্রমণের হার। ভারত কি বেঁচে গেল সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে? চিকিৎসকদের মধ্যে ভিন্ন মত। সতর্ক থাকার পরামর্শ ডাক্তারদের।


ইতিমধ্যেই করোনার ২টি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। সারা দেশের মতো এরাজ্যেও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে গত কয়েকদিনে সারা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও কমেছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবার ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ মেলে। শনি ও রবিবার নমুনা পরীক্ষা হয় যথাক্রমে ২১৮ ও ২৩৮ জনের।


দু’দিনই সমস্ত রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। শুক্রবার সরকারি ল্যাবে হওয়া নমুনা পরীক্ষার ভিত্তিতে রাজ্যে সংক্রমণের রেট ছিল ১ শতাংশ।


সোমবার সংক্রমণের হার কমে দাঁড়ায় ০.৮ শতাংশ। আমেরিকা-ব্রিটেনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। এই অবস্থায় ভারতে কীভাবে কমছে সংক্রমণের হার?


শল্য চিকিৎসক ডাঃ দীপ্তেন্দ্র সরকারের মতে, ‘‘যেখানে যেখানে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ এসেছে সেখানে সেখানে প্রবল ঠান্ডা পড়েছে। ভারতে এবার সেভাবে ঠান্ডা পড়েনি। তাছাড়া গরীব মানুষের মধ্যে মনে হচ্ছে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে সেকেন্ড ওয়েভ থেকে বেঁচে গেলাম। তবে সতর্ক থাকতে হবে ৷’’


তবে সংক্রমণ কমলেও পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেন না চিকিৎসকদের একাংশ। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ সৌগত ঘোষ বলছেন, ‘‘ দীর্ঘদিন থাকার পর ভাইরাস কিছুটা দুর্বল হয়। তবে করোনার নতুন নতুন প্রজাতি দেখা যাচ্ছে। এই প্রজাতিগুলি থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’’


এদিকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন যাঁরা নিচ্ছেন তাঁরা নিজেরা আক্রান্ত না হলেও, তাঁদের থেকে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। সম্প্রতি এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জোনাথন ভ্যান ট্যাম। তিনি মনে করেন, একজনের থেকে আর একজনের শরীরে সংক্রমণ রোখার ক্ষমতা ভ্যাকসিনের আছে কিনা তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।