কলকাতা: কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝির পর, এবার গরু পাচারকাণ্ডে যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।


সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ মেলেনি গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত নেতার। সিবিআইয়ের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্র দাবি করেন, পরিবারও তাঁর ফেরার হওয়ার ব্যাপারে কিছু জানে না। সেই কারণেই কয়লা ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার পর, যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর
সিবিআই সূত্রে।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি, সোমবার, নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের চোখা চোখা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রকে। যেমন - 'আপনার দাদা বিনয় মিশ্র এখন কোথায়? আপনার সঙ্গে তাঁর শেষ কবে দেখা হয়েছিল? আপনাদের দুজনের মধ্যে শেষ কথা কবে হয়েছে? বিনয় মিশ্র এখন কোন ফোন নম্বর ব্যবহার করছেন? তিনি দেশে আছেন, নাকি দেশের বাইরে চলে গেছেন?'

গত সপ্তাহেই তাঁকে দুদফায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, এর আগে দুবারই বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন বিকাশ। তাই সোমবার তাঁকে তৃতীয়বার তলব করা হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, কয়লা এবং গরু, দুটি মামলাতেই বিনয় মিশ্রের নিবিড় যোগ রয়েছে।
সিবিআইয়ের দাবি, বিকাশ তাঁর দাদা বিনয়ের ব্যবসার খুঁটিনাটি দিক জানতেন। মনকি ব্যবসার কিছু অংশ দেখভালও করতেন। সেই সূত্র ধরেই কয়লা ও গরু পাচারের সিন্ডিকেট চক্রের নাগাল পেতে চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, বিকাশ মিশ্রের হাতে এই সংক্রান্ত অনেক তথ্যই থাকার কথা। বিকাশ মিশ্রের পাশাপাশি, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই সোমবার রাজ্য পুলিশের এক অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সঞ্জয় চক্রবর্তী নামের ওই অফিসার বর্তমানে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানার আইসি। তিনি এক সময় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন।

সব মিলিয়ে ভোটের মুখে কয়লা-গরু পাচারের সিবিআই তদন্ত ঘিরে জমজমাট রাজনীতিও।