কলকাতা: নির্বাচনে বিপর্যয় হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট অটুট রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য কমিটির সিংহভাগ সদস্য। সেই জোরাল-জোটবার্তাকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বক্তব্য পেশ করতে যাচ্ছে সিপিএমের বঙ্গ-ব্রিগেড। রাজ্য কমিটির বৈঠক থেকে তারই ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা!
ভোটের ফলপ্রকাশের পরই পলিটব্যুরোর বিবৃতি দিয়েছিল। আপত্তি তুলেছিল বামফ্রন্ট শরিকরাও। কিন্তু তাঁরা যে আপাতত ‘হাত’ ধরেই চলতে চান, রবিবার রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। বুঝিয়ে দিয়েছেন, জোট-প্রশ্নে তাঁরা আগের অবস্থানেই অনড়।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, জোট হয়েছিল বলেই লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছি। বুথে বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পেরেছি। জোট হয়েছে বলেই ভাল ফল হয়েছে। না হলে খারাপ ফল হত।
দল এবং বামফ্রন্টগতভাবে আলাদা কর্মসূচি নেওয়া হলেও, যৌথ আন্দোলনে যে কংগ্রেসকেও সামিল করা হবে, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জোটের অন্যতম কাণ্ডারি। সূর্যবাবু বলেন, বামফ্রন্ট ভাঙবে না। ওরা ওদের মত দিয়েছে। ভিন্নমত থাকতেই পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ও হয়েছিল। আলোচনা করেই মিটবে। ওরা বলেছে বামফ্রন্টগত কর্মসূচি নিতে। সেটাও হবে, বৃহত্তর কর্মসূচিও হবে, কংগ্রেসকেও অন্তর্ভূক্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি-প্রকাশ কারাটদের সামনেই, পলিটব্যুরোর বিবৃতির সমালোচনা করে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানান অধিকাংশ সদস্য। যদিও সূর্যকান্তর দাবি, পলিটব্যুরোর বিবৃতি নিয়ে দলে কোনও দ্বিমত নেই। কারণ, সিপিএম সর্বভারতীয় দল।
সূত্রের খবর, আসন্ন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে, কারাটদের সামনে জোট নিয়ে রাজ্য কমিটির মতকে জোরালভাবেই পেশ করতে চলেছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। এ কে গোপালন ভবনকে তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন, পশ্চিমবঙ্গই হল সিপিএমের নিউক্লিয়াস। বাংলায় যদি সংগঠন দুর্বল হয়, তাহলে গোটা দলে তার প্রভাব পড়বে।