কলকাতা: ডিসেম্বরের শুরুতেই এক ধাক্কায় ৫০ টাকা দাম বেড়েছে রান্নার গাসের সিলিন্ডারের।  করোনা পরিস্থিতিতে হেঁশেলের বাজেটে টান পড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।

সেই রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদেই রাস্তায় নামল সিপিএমের মহিলা সংগঠন।  শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ  নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোর সামনে পথ অবরোধ করে সিপিএমের মহিলা সংগঠন, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।

গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী কনীনিকা ঘোষ এভাবে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

দু’দিন আগে  ১৪ কেজি ২০০ গ্রামের সিলিন্ডারপিছু রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয় ৫০ টাকা।  কলকাতায় এলপিজি-র দাম হয়েছে ৬৭০ টাকা ৫০ পয়সা।

এ বছর করোনা পরিস্থিতিতেও ধাপে ধাপে অনেকটাই দাম বাড়ানো হয়েছে রান্নার গ্যাসের।  সর্বোচ্চ দামবৃদ্ধি হয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

দাম বেড়েছিল ১৪৯ টাকা।  জুনে দাম বেড়েছিল সিলিন্ডার প্রতি ৩২ টাকা।

তবে দাম বাড়লেও প্রয়োজনের চেয়ে তা কমই বাড়ানো হয়েছে বলে বিভিন্ন তেল সংস্থা সূত্রের দাবি। যদিও, তারা এই দাবি করলেও, ধাপে ধাপে যেভাবে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, তাতে চরম দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ।

কারণ বছর দেড়েক ধরে ভর্তুকিযোগ্য ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধাপে ধাপে কেন্দ্র এতটাই বাড়িয়েছে যে, অধিকাংশ জায়গায় আর ভর্তুকি মিলছেই না। যেখানে মিলছে, সেখানেও তা নগণ্যই। খোদ পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তথ্যই জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের দাম ৪৯৪.৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৯৪ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি কমানোয় সরকারের প্রায় ২২ হাজার কোটি সাশ্রয় হবে। গত অর্থবর্ষে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি ছিল ২২,৬৩৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে মাত্র ১,৯০৫ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে।

লকডাউনের পরে মোদি সরকার আট কোটি গরিব পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে সিলিন্ডারের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এখন প্রায় ১৮ কোটি পরিবার রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত।

এই পরিস্থিতিতে ফের রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে সেই সাধারণ মানুষ।