কলকাতা:  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং-এর অভিযোগের ঘটনায় নয়া মোড়। মুখ মুখলেন নির্যাতিত আইনের পড়ুয়া। সেই রাতের কথা ভাবলেই এখনও শিড়দাঁড়া বেয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে ওই ছাত্রের! মনে আতঙ্ক....শরীরজুড়ে অজস্র আঘাত!তিনি জানিয়েছেন, ভয়ে হস্টেলে ফিরতে পারছেন না। শারীরিক অবস্থা এমন যে ক্লাসও করতে পারছেন না তিনি। তাঁর অভিযোগ, উইকেট দিয়ে মারধর করা হয়। মারা হয় লাথিও। র‍্যাগিং-এর সময়

মেয়ে সেজে নাচতে বলা হয় বলেও দাবি ওই ছাত্রের। অভিযোগ, পোশাক খুলে যৌন হেনস্থা করা হয় তাঁকে। ওই সময় নির্যাতিতর মাথা ফেটে যায়। অভিযুক্তরা শুশ্রুষা করে আবার তাঁকে মারধর করে বলে দাবি নির্যাতিতর। তাঁর আরও বক্তব্য, অভিযুক্তরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ল’ হস্টেলের সিনিয়র আবাসিক। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাও।

ছাত্রের আরও দাবি, অত্যাচারের পর তাকে হস্টেলের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।

অভিযুক্তরা যখন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, তখন কোনও মতে ভিনরাজ্যে থাকা দাদাকে এসএমএস করে নিজের অবস্থা জানায় ছাত্রটি।

ভাইয়ের বিপদের কথা জানিয়ে লালবাজারের ১০০ ডায়ালে ফোন করেন দাদা।

রাতেই হস্টেলে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। আইনের প্রথম বর্ষের এই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ৯ ডিসেম্বর ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানানো হয়।