কলকাতা: পাঁচশো-হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এরইমধ্যে জাপান সফরে নরেন্দ্র মোদী। ট্যুইটে তাঁর মন্তব্য, দুর্নীতিমুক্ত ভারত তৈরির চেষ্টা করছে সরকার। যাতে প্রত্যেক ভারতবাসীকে উন্নয়ন ছুঁয়ে যেতে পারে। আর দেশে লাগাতার তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা।
ফের একবার আক্রমণ শানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, গোটা দেশে আর্থিক অরাজকতা চলছে। কালো টাকা ধরুক আপত্তি নেই। কিন্তু, ধোপা, নাপিত, গ্রামের মানুষ, তাঁদের কাছে খুচরো নেই। তাঁর প্রশ্ন, দু’হাজার টাকার বেশি পাবে না কেন? বেসরকারি হাসপাতালগুলি পুরনো টাকা নেবে না কেন?


আরও পড়ুন: 


ধার করে ঠাকুরের মিষ্টি কিনেছি! কটাক্ষ মমতার, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি


মোদীর ‘তুঘলকি সিদ্ধান্তে’ সরব মমতা



মমতা বলেন, গ্রাম বাংলার গরিব মানুষ, মধ্যবিত্তদের গায়ে আঁচ পড়েছে। লক্ষ্মীর ঝাঁপিও কি কালো টাকা? সুবিধা হল কাদের? এক শ্রেণির মানুষের। যাঁদের ক্রেডিট কার্ড আছে। যাঁদের সারাদিন ধরে না খেয়ে, লাইন দিয়ে টাকা তুলতে হচ্ছে, তাঁদের কথাটা ভাবুন। আস্তে আস্তে এরা ভিখিরি হবে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, নতুন নোট তৈরি করতে কম খরচ হল? সংসদে প্রশ্ন উঠবে।
আক্রমণকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে মমতা আরও বলেন, রাজ্যে ব্যাঙ্ক নেই, ব্যাঙ্কে লোক নেই। পোস্ট অফিসগুলি তো সাইন বোর্ড। এ সব করে তিনি চলে গেলেন জাপান। কালো টাকা বিদেশ থেকে এনে ১৫ লক্ষ করে প্রত্যেককে দেবেন বলেছিলেন। কোথায় সেই টাকা? শুনলাম চা বাগানগুলিতে কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। অসমে পাঁচ লক্ষ। বাংলায় আড়াই লক্ষ। এ ভাবে বঞ্চিত হলে ছাড়বো না। মুখ্যসচিবকে বলেছি চিঠি দিতে। ১০ হাজার টাকা যদি তুলতে না পারে, তা হলে বেতন দেবে কীভাবে?
শুধু মমতা নন, কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব মায়াবতী-মুলায়মও। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। টাকার জন্য ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে সাধারণ মানুষ। আর তরজায় রাজনীতিবিদরা।