কলকাতা: নোট-সঙ্কটের জেরে দূরত্ব বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার! বাজারগুলি এখন কার্যত জনমানবশূন্য! যেটুকু না না হলেই নয়, তা দিয়ে হেঁসেল চালাচ্ছে গেরস্থ! এর ফলে, ক’মাস আগেও যে সব জিনিসের দাম বাড়ছিল হু-হু করে, এখন সেগুলোই ক্রমশ নিম্নমুখী! কিন্তু তাতেও কেনার লোক নেই!


সোমবার দোকানই খোলেননি মানিকতলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নেপাল চন্দ্র দাস!

চাহিদা না থাকায় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা মাছেরও জোগান কমেছে!

অন্ধ্র থেকে মাছ নিয়ে, প্রতিদিন রাজ্যে যেখানে ৯০টি ট্রাক ঢুকত, সেখানে রবিবার এসেছে মাত্র ১০টি ট্রাক! অর্থাত, এক তৃতীয়াংশেরও কম!

মানিকতলার পাইকারি বাজারে গোটা রুই মাছ বিক্রি হচ্ছিল ১২৫-১৩০ কেজি দরে। এদিন সেটাই নেমে এসেছে ১০০-১০৫ টাকায়!

২০০ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করা কাতলার দর এখন ১৯০! তাতেও সাড়া দিতে পারছেন না নোট-সমস্যায় জর্জরিত ক্রেতারা!

দাম কমেছে অন্ধ্র থেকে আসা ডিমেরও। সাড়ে পাঁচ-ছ টাকার ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকায়!

নোট-সঙ্কটের ধাক্কা লেগেছে মুরগির গায়েও!

ক’দিন আগে ছাড়ানো চিকেনের কেজি প্রতি দাম ছিল ১৬০-১৭০ টাকা। সেটাই এখন কমে হয়েছে ১৩০-১৩৫! মানিকতলার মাংস বিক্রেতা মহম্মদ নাফিজ বলেছেন, আজকে দোকান খুলিনি। কী করব, বিক্রি হচ্ছে না তো!

সবমিলিয়ে কম-বেশি একই ছবি শহরের অন্যান্য বাজারেও।

মানুষের হাতে খুচরো টাকা নেই! তাই চাহিদাও নেই! দাম কমে গিয়েছে, কিন্তু ক্রেতা নেই! কারণ, এই কদিনেই অনেকের খাদ্যাভাসও বদলে যাচ্ছে! অনেকেই নিরামিষও খাচ্ছেন।

আর সাধারণ মানুষের এই দুরবস্থার জেরে সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা!