নয়াদিল্লি: হেমন্তের দুপুরে আকাশে মেঘের ঘনঘটা! বঙ্গোপসাগরে তৈরি নতুন নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই প্রবল বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এরমধ্যেই, মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, নিম্নচাপ পরিণত হতে পারে সাইক্লোনে।

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে শহরজুড়ে বৃষ্টি। আজ দুপুর থেকে আকাশ কালো করে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতাও।

আবহবিদেরা বলছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও।



শনিবার থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও শুরু হবে বৃষ্টি। রবিবার গোটা দক্ষিণবঙ্গেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।

মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি বর্তমানে বিশাখাপত্তনমের ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব অবস্থান করছে।

আবহবিদদের অনুমান, আগামী ২৪-ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম দিকে সরবে। পরের ২৪-ঘণ্টায় তা দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্বমুখী হয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে নিম্নচাপটি। এই সময়ে নিম্নচাপটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গভীর নিম্নচাপ বা সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে।

মৌসম ভবনের সাইক্লোন সতর্কতা বিভাগের অধিকর্তা এম মহাপাত্রের সতর্কবাণী, আগামী শনিবার-রবিবার সাইক্লোন ‘নাডা’ (ওমানের দেওয়া নাম) বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে।



নাডা-র জন্য আগামী ৪-৬ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশার উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

ওই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার উপদেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ দিনে এটি বঙ্গোপসাগরের দ্বিতীয় সাইক্লোন। এর আগে গতমাসের শেষ সপ্তাহে সাইক্লোন কিয়ান্ত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল।

যদিও, ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আগে তার শক্তিক্ষয় হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এর জন্য তামিলনাড়ুতে দিপাবলীর সময় বৃষ্টি হয়।