ব্যাঙ্কে টাকা রাখা মানে নিশ্চিন্ত...ব্যাঙ্কগুলিও দাবি করে, আপনার টাকা তাদের কাছে সুরক্ষিত....
কিন্তু কোথায় সুরক্ষা? একের পর এক ডেবিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ যেভাবে সামনে আসছে, তাতে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ...শিক্ষক থেকে ব্যবসায়ী, বাদ যাচ্ছেন না কেউই।
অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী। তাঁরও এসবিআই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা গায়েব...শুক্রবার সকালে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। অভিযোগ,
রাকেশ শ্রীবাস্তব পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি বলেন, এসবিআই ডেবিট কার্ডের সার্ভিস সেন্টার থেকে তিনি ফোন করছেন। ডেবিট কার্ডের নম্বর জানতে চান। বলেন, নম্বর না জানালে, কার্ডটি ব্লক হয়ে যাবে। অভিযোগ, আধার কার্ডের নম্বরও ওই ব্যক্তি জেনে নেন।
এরপর থেকেই শিখা মুখোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনে একের পর এক ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি আসতে থাকে। সেই নম্বরগুলিও ফোন করে জেনে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর ফোনে এসএমএস। অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা উধাও।
অভিযোগ পাঁচ দফায় টাকা তোলা হয়েছে মুম্বই ও নয়ডা থেকে। হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিখা মুখোপাধ্যায়।
অভিযোগ উঠেছে সল্টলেকের দত্তাবাদেও। সেখানে জালিয়াতির শিকার মধুসূদন দাস।
অভিযোগ, এটিএম সার্ভিস ম্যানেজারের পরিচয় দিয়ে তাঁর এসবিআই এটিএম কার্ডের বেশ কিছু তথ্য জেনে নেন এক ব্যক্তি। তারপরই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় উনত্রিশ হাজার টাকা গায়েব। বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ভাবে একের পর ডেবিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ সামনে আসায় অনেকেই আতঙ্কে।তাঁরা বলছেন, বাড়িতে টাকা রাখলে চুরি-ডাকাতির ভয়...বেআইনি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে বাঁচতে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে বলছে সবাই...আবার ব্যাঙ্কে টাকা রেখে ডেবিট কার্ড জালিয়াতির শিকার! তা হলে সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে টাকাটা রাখবে কোথায়?