কলকাতা: ফের মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একধাপ এগিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, ঋণ বাবদ টাকা কাটা বন্ধ না করলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করবেন। পাল্টা সরব বিজেপি।
কখনও সংসদে সুর চড়ানো। কখনও সাংবাদিক বৈঠক করে আক্রমণ। তো কখনও রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে নালিশ। সম্প্রতি, বার বার মোদী সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল।
আর শুক্রবার, দলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে সেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ঋণ বাবদ তিন মাসের মধ্যে টাকা কাটা বন্ধ না হলে, কলকাতা থেকে দিল্লি, রাস্তায় নেমে আন্দোলন হবে।
মোদী সরকারের আমলে এখন আঁধার কার্ড না থাকলে গ্যাসের ভর্তুকি থেকে স্কলারশিপ, কোনওটাই পাওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনও তিনি সুর চড়ান। পথে নামারও হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলছে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। তা সত্ত্বেও গায়ের জোরে বলছে আধার কার্ড ১০০ শতাংশ না হলে স্কলারশিপ পাবে না। মোদী বলবে, দেখলেন কত টাকা বাঁচালাম। নরেন্দ্র মোদী। এই টাকা দিয়ে কোট তৈরি করবেন? গিনেস বুকে ভাল কাজের জন্য নাম ওঠে। কোট তৈরির জন্য ওঠে।
১০০ দিনের কাজে টাকা বন্ধের অভিযোগেও মোদি সরকারকে এ দিন ফের নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেছেন, ১০০ দিনের কাজে বাংলা ছিল ছাগলের তৃতীয় সন্তান। এখন বাংলা এক নম্বর, তাই টাকা বন্ধ করেছে। যাতে বাংলা পিছিয়ে যায়। এভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এরকম বঞ্চনা কেন চলবে? কেন্দ্রকে ৪০ শতাংশ টাকা দেব। টাকা দেব আমি। নাম হবে প্রধানমন্ত্রীর নামে। কোনওটা ছোটমন্ত্রীর নামে। কোনওটা বিজেপি নেতার নামে।
নারায়ণী সেনা নিয়েও তৃণমূলনেত্রী এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। বলেন, নির্বাচনের সময় যে বিএসএফ মেরেছিল, তারাই ট্রেনিং দিচ্ছে। বিজেপির একজন এমপি বলছে, এটাকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট করবে।
মমতার আক্রমণের জবাব দিয়েছে বিজেপিও। শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নিজস্ব আয় বাড়াতে ব্যর্থ। শিল্পপতিরা বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন। রাজ্য এখন ঋণের ফাঁদে আটকে পড়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই এ সব কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে চাপান-উতোর অব্যাহত।