কলকাতা: ফের মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-শাসনে গণতন্ত্র বিপন্ন উল্লেখ করে সব বিরোধী দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মমতা অভিযোগ করেন, এনডিএ সরকার তাঁর রাজ্যে উন্নয়নের কাজে বাধাসৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এদেশে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের আমলে গণতন্ত্র বিপন্ন। দেশে একটা সুপার-এমার্জেন্সি চলছে। আমি দুদশক ধরে সাংসদ থেকেছি। কখনই এমন কেন্দ্রে এমন সরকার দেখিনি।
বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, আমি সমষ্টিগত নেতৃত্বে বিশ্বাস করি। এই মুহূর্তে সকলেই একযোগে কাজ করছে। এটাই সেরা নীতি। আসুন একযোগে কাজ করি। তিনি যোগ করেন, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং বিজেডি-র সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, সংসদের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছেন।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মহাজোট গড়া উচিত বলেও মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস ও বামেরা ভেতরে ভেতরে বিজেপির সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু, জাতীয় স্তরে, আমার মনে হয় (বিরোধীদের) বড় জোট হওয়া উচিত।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী মহাজোট নিয়ে এখনও আশাবাদী মমতা। বলেন, অনেক কিছুর ওপর (মহাজোট) নির্ভর করছে। আমরা সংসদে একসঙ্গে কাজ করছি। পটনায় আমি লালুপ্রসাদজির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। তিনি যোগ করেন, উত্তরপ্রদেশে আমার সঙ্গে অখিলেশ যাদব, মায়াবতীর ভাল সম্পর্ক। দক্ষিণে স্তালিনজি এবং ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে। মমতা এ-ও জানান, বিজেপির (কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব) কারও কারও সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বজায় রাখেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি প্রধান বিরোধী দল হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, ওরা (বিজেপি) কখনই সফল হবে না। তিনি বলেন, তাঁর রাজ্যে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া বিজেপির আর কোথাও অস্তিত্ব নেই। ওরা শুধু চেঁচামেচি করে। ওরা বাইক-বাহিনী নিয়ে চেঁচাতেই পারে। এর বেশি কিছু করতে পারবে না। মমতা মনে করিয়ে দেন, বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গ মেনে নেবে না। তাঁর সরকারের কাছে এটা যে বড় চ্যালেঞ্জ তাও মেনে নেন তিনি।