কলকাতা: মাস পয়লা। বেতনও হয়ে গিয়েছে। সবারই এখন বেশি করে নগদ দরকার। কিন্তু, টাকা তুলতে গিয়ে সেই হয়রানি। ব্যাঙ্ক-এটিএমের সামনে সকাল থেকে লম্বা লাইন।
অনেকে বাধ্য হয়ে ২ হাজার টাকাই তুলছেন। কিন্তু, তোলার পর চিন্তা ২ হাজার টাকা ভাঙিয়ে দেবে কে???!!!! গত মাসের আট তারিখ মোদি নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন। তার আগেই বেতন তোলা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এবার বেতনের টাকা তুলতে না পারলে ঘর চলবে কীভাবে?
নবান্নর এটিএমের সামনেও একই ছবি। কাজ ফেলে রেখে অনেকেই সকাল থেকে লম্বা লাইনে। সরকারের নির্দেশ, বৃদ্ধদের জন্য আলাদা লাইন রাখতে হবে। কিন্তু, শিলিগুড়ির এই ব্যাঙ্কের সামনে কোথায় কী! ৮৬ বছরের এই বৃদ্ধ, অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মী লাইনে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বসেই পড়লেন।
আসানসোলে জামুড়িয়ার শ্রীপুর গার্লস হাইস্কুলে, নগদ টাকার অভাবে চারদিন ধরে বন্ধ মিড ডে মিল। মাসের শুরুতে নগদ মিলবে বলে আশা ছিল। কিন্তু, ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, ২ হাজার টাকার বেশি দেওয়া যাবে না। এই খবর দেখার পরে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জানান, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, পনেরো দিনের মতো চাল-ডাল পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
মাস পয়লায় দুর্ভোগের ছবি অবশ্য সব জেলাতেই একইরকম। বেশিরভাগ এটিএমই বন্ধ। ব্যাঙ্কের সামনে লাইন। কেউ ধরাচ্ছে ২ হাজারের নোট। কেউ বলছে, নোট নেই। ভুক্তভোগীদের একটাই প্রশ্ন, এই হয়রানি আর কত দিন?