কলকাতা: ডেঙ্গি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এ নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এই পরিস্থিতির জন্য তাঁর কাঠগড়ায়-- আবহাওয়া, বেসরকারি হাসপাতালের একাংশ, ডায়ানগস্টিক ল্যাবরেটরির একাংশ, রোগের চরিত্র বদল। একইসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ কেউ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে, প্যানিক করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় এক ও একমাত্র রাজ্য সরকার! এদিন কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবে কংগ্রেস। ২ তারিখ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করব। ৩ তারিখ কলকাতায় ডেঙ্গি নিয়ে মিছিল।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য দাবি করছেন, ডেঙ্গি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সময় রোগ হয় আবহাওয়ার কারণে। বিপজ্জনক বৃষ্টি। আবার বৃষ্টি, আমাকে ফেস করতে হবে। তিনি যোগ করেন, ডেঙ্গি ক্যারেক্টার চেঞ্জ করেছে। ২-৩টি কর্পোরেট হাউস, হেল্থ কমিশন করার সময় থেকে ৩-৪ জন মিলে ভুল কাগজ সরবরাহ করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, ভুল তথ্য দিচ্ছে। ৩টি লাইসেন্স ক্যানসেল করা হয়েছে।
ডেঙ্গি নিয়ে আন্দোলনে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তাদেরও অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ রাজ্য সরকার তথ্য চাপার চেষ্টা করছে। এদিন কলকাতায় চারটি বরো অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
পাল্টা বিরোধীদের নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল আছে। ম্যালিনগেন্ট ম্যালেরিয়ার সময় ক্যাম্প করেছি। ফালতু চিতকার। যারা কাজ করে তারা মুখে কিছু বলে না।
গত কয়েকদিনের মতো এদিনও গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে পদ্ম শিবিরকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, আসাম- বিজেপি আগে নিজের রাজ্যগুলিকে দেখুক।
পাল্টা ডেঙ্গি নিয়ে কলকাতার পাশাপাশি জেলায় আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাজির ছিলেন পুরমন্ত্রী, কলকাতা, বিধাননগর ও হাওড়ার মেয়র। ডাকা হয়েছিল পুরপ্রধানদেরও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। পুরসভা, পঞ্চায়েতগুলিকে বলা হয়েছে, আরও সিরিয়াসলি করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় হুঁশিয়ারিও। বলেন, স্বাস্থ্য দফতর টাকা দিচ্ছে। কোনও পুরসভা কাজ না করলে ভেঙে দেব।