কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট। আধ ঘণ্টা আকাশে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের চক্কর। পটনা থেকে কলকাতায় আসছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, জ্বালানি কম থাকায় দ্রুত অবতরণের অনুমতি চান পাইলট। পাইলট বার বার বলা সত্বেও নামার অনুমতি মেলেনি। চল্লিশ মিনিট ধরে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, দেরি হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন পাইলট। এই প্রেক্ষিতে ফিরহাদের অভিযোগ, ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার চক্রান্ত থাকতে পারে। এদিকে, বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমানবন্দরেও দুর্ঘটনা মোকাবিলার প্রস্তুতি শুরু হয়। তৈরি রাখা হয় দমকলবাহিনীকেও।



অবশেষে আধঘণ্টা আকাশে চক্কর কাটার পর অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে অভিযোগ জানানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
যদিও, ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এএআই) পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জয় জৈন জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের চালক জ্বালানি কম থাকার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে এয়ার ইন্ডিয়ার অন্য একটি বিমানের চালক জ্বালানি কম থাকার কথা জানান। অন্য বিমানটিতে জ্বালানি সব থেকে কম থাকায় তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সেই মতো এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিকে আগে নামানো হয়। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের কোনও চক্রান্ত ছিল না।