কলকাতা: জোড়া সাফল্য এসএসকেএমে। দুটো জটিল অস্ত্রোপচারের জোড়া হাত খোওয়া যাওয়া আটকালেন চিকিৎসকরা। এক বছর দশের বালক ও এক বছর ৩২-র যুবকের কাটা যাওয়া হাত জোড়া লাগল চিকিৎসকদের তৎপরতায়।


হাত খোওয়ানোর আশঙ্কায় একসময় দিশেহারা পরিবাররা আপাতত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন চিকিৎসকদের। বছর দশেকের বালকের হাত কাটা গিয়েছিল খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। অপরদিকে, বচসার মধ্যে বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে হাত বাদ পড়ার অবস্থা হয়েছিল বছর ৩২-র যুবকের।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। গত ৬ নভেম্বর। পরিবার সূত্রে খবর, খেলার সময় পাশে থাকা জেনারেটরে হাত দেয় ১০ বছরের এক বালক। বন্ধু জেনারেটর চালিয়ে দিলে বালকের কব্জির ওপর থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাত হারানোর ভয়ে যখন দিশাহারা পরিবার, তখন আশার আলো দেখান চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই দিনই কাটা হাত সহ বালককে নিয়ে এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। রাতেই অস্ত্রোপচার শুরু হয়। পরের দিন ভোর পর্যন্ত চলে অস্ত্রোপচার। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর জানা যায় ওই বালক করোনা আক্রান্ত। ফলে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার কোভিড জয়ী ওই বালককে ফের নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে।

অন্যদিকে, শুক্রবার এসএসকেএমেই মালদার মোথাবাড়ির এক যুবকের কাটা হাত জুড়তে অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বাজারে বচসার সময় বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে ৩২ বছরের রাকিব শেখের কব্জি থেকে বাঁ হাত কেটে যায়। প্রায় ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার।  রোগীকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।