বিধাননগর:  শহরজুড়ে মাদক-চক্র। গ্রেফতার বিধাননগরের প্রাক্তন পুরপ্রধানের নাতি। গ্রুপ স্টাডির নামে বাড়ি থেকেই কারবার। সতর্কতা নিয়ে আগামীকাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে এনসিবি।

খাস কলকাতাতেই হদিশ মিলেছে মাদক মেশানো ক্যান্ডির! উঠে এসেছে একাধিক কলেজ পড়ুয়ার নাম! একাধিক কলেজের নাম! উদ্বেগজনক এই তথ্য পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো!

সূত্রের খবর,  আলোচনা করতে চেয়ে বৃহস্পতিবার কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে ডেকেছে এনসিবি।

তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে, পড়ুয়াদের একাংশ যে মাদক-পাচারে জড়িত, তা কি তারা জানত?

কখনও কি কোনও সন্দেহ হয়েছিল? অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলেজের তরফে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কলেজগুলি কোনও তথ্য দিতে চায় কিনা, তাও জানতে চাইবে এনসিবি।

প্রয়োজনে নেওয়া হবে সচেতনতামূলক কর্মসূচি।

আগে ধৃত তিনজনকে জেরা করে, সোমবার রাতে সল্টলেক থেকে নিলয় ঘোষ এবং জেরম ওয়াটসনকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এদের জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, ধৃত নিলয় ঘোষ, বাম পরিচালিত বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রয়াত দিলীপ গুপ্তর নাতি।

সূত্রের খবর, সল্টলেক সিজে ব্লকের এই বাড়িতে বসেই মাদক পাচারের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হত বলে জানতে পেরেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর গোয়েন্দারা।

প্রতিবেশীরা অবাক হলেও, এনসিবি সূত্রে দাবি,শহরের একাধিক পার্টিতে যোগ দিতেন নিলয়। ওই পার্টিগুলিতেও মাদক পাচার করা হত।

নিলয় ও জেরমকে জেরা করে, তাঁদের কয়েকজন বন্ধুর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। এনসিবির অনুমান, মাদক পাচার চক্রে ওই বন্ধুদের যোগ রয়েছে! ‘ডিলিং স্পট’ হিসেবে আরও বেশ কয়েকটি জায়গার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেখানেও অভিযান চালানো হবে।

বুধবার ধৃত দু’জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে বারাসত আদালত।