Durga Puja 2020 LIVE Updates: ‘বাংলা গোটা দেশকে দিশা দেখায়, বাঙালিরা দেশের গৌরব..’ দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে মোদি
2020 Durga Pujo LIVE Updates, Pandal Guidelines and SOPs: ৷ করোনা আবহে নিউ নর্মালে পুজো এবার অন্যরকম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে হবে। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। ইতিমধ্যেই মা এসে গিয়েছেন মণ্ডপে৷ শুরু হয়ে গেছে ঠাকুর দেখা।
আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পুজোর পাঁচ দিন খোলা থাকবে।
সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন মন্দির কর্তৃপক্ষের
কুড়ি মিনিট অন্তর মেট্রো চলবে।অন্যান্য বছর পুজোয় মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রো চললেও এবছর কমানো হচ্ছে
বেলা ১২টায় পুজো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
‘দুর্গাপুজো, অশুভের পরাজয়,‘শুভে’র বিজয়ের এক পবিত্র উৎসব।মা দুর্গার কাছে শক্তি, আনন্দ, সুস্বাস্থ্যের আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।
কাল শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানাবো। পুজোর আনন্দ একসাথে ভাগ করে নেব’।ট্যুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: আজ পঞ্চমী৷ করোনা আবহে নিউ নর্মালে পুজো এবার অন্যরকম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে হবে। ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। ইতিমধ্যেই মা এসে গিয়েছেন মণ্ডপে৷ শুরু হয়ে গেছে ঠাকুর দেখা।
ষষ্ঠীর সন্ধায় বেল গাছের তলায় হয় দেবীর বোধন। যেন নেওয়া যাক, এর কারণ কী!
বোধন-বোধন অর্থাৎ জাগরন। আমরা জানি রামচন্দ্র রাবণকে বধ করার বর পাওয়ার জন্য দেবী দুর্গার পুজো করেছিলেন। সেই পুজো করতে হয়েছিল শরৎকালে। আমাদের এক বছর দেবতাদের একদিনের সমান। তাই আমাদের ছয়মাস দেবতাদের দিন আবার বাকি ছয় মাস দেবতাদের রাত। মাঘ মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত ছয়মাসকে উত্তরায়ণ বলে। এই সময় দেবতারা জাগ্রত অবস্থায় থাকেন। আবার শ্রাবণ থেকে পৌষমাস পর্যন্ত ছয়মাসকে দক্ষিণায়ণ বলা হয়। এই সময়ে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। শরৎকাল দক্ষিণায়নের মধ্যে পড়ে। তাই শরৎকালের দেবীর কৃপা পাওয়ার জন্য রামচন্দ্রের দেবীকে জাগ্রত করার প্রয়োজন ছিল। যদিও বিভিন্ন পুরাণে রামচন্দ্রের বোধন করার কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়না। সর্বত্রই ব্রহ্মাদেবীকে জাগ্রত করার জন্য তাঁর স্তব করছেন তেমনটাই পাওয়া যায়। ব্রহ্মা অন্যান্য দেবতাদের সঙ্গে পরে দেবীকে জাগ্রত করার জন্য স্তব করতে লাগলেন। এই সময়ে এক কুমারী দেবতাদের সামনে আবির্ভূত হয় বেলগাছের সামনে দেবীর বোধন করার পরামর্শ দেন। সেই মত ব্রহ্মা এবং অন্যান্য দেবতারা মর্ত্যে এসে এক নির্জন গভীর বনের মধ্যে একটা বেলগাছের সামনে একটি বালিকা মূর্তি দেখতে পান। দেবতারা সবাই মিলে আবার স্তব করতে থাকেন। তখন দেবী প্রসন্ন হয়ে জাগরিত হলেন এবং তাঁর বালিকা মূর্তি ছেড়ে চন্ডিকারূপে ব্যক্ত হলেন।
অনেকেই মনে করেন বৈদিকযুগে যখন প্রকৃতি পুজো প্রচলিত ছিল তখন শাকম্ভরীরূপে পুজো করার রীতি ছিল। এই শাকম্ভরী হল দুর্গা বা দেবীমুর্তির আদিরূপ। বিল্ববৃক্ষমূলে পুজো আসলে সেই প্রকৃতি পুজোর ধারাই চলে আসছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -