কলকাতা: একটা সময় ছিল, যখন খুচরো নিয়ে খুচরো-ঝামেলার শেষ ছিল না। রাস্তা-ঘাটে, বাজারে-হাটে, বাসে কিম্বা অটোয় কয়েন না দিলে বেধে যেত ধুন্ধুমার। দিলেই মিলত বাড়তি কদর। কিন্তু, এখন উলটপুরাণ। ভাড়া দিতে গিয়ে কয়েন বের করলেই রেগে কাঁই বাস কন্ডাক্টর থেকে অটোচালক।
কারণ, কয়েনে কয়েনে ছয়লাপ চতুর্দিক! বস্তা বস্তা কয়েন নিয়ে কোথাও ফাঁপরে ব্যবসায়ীরা! কোথাও আবার খোরপোশ নিয়ে ফাঁপরে গৃহবধূ। আর এখন কয়েন আতঙ্ক তাড়া করছে পূর্ব রেলকেও।
রেলসূত্রে খবর, প্রতি দিন টিকিট বিক্রি থেকে জমা পড়ছে ৩ থেকে ৪ হাজার কয়েন। ক্যাশ অফিস ঘুরে সেই কয়েন যাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়। গত ১৮ তারিখ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে জানিয়েছে, এত কয়েন গোনার কর্মী তাদের নেই। তাই তারা আর কয়েন নিতে পারবে না।
এই প্রেক্ষিতে টিকিট বুকিং অফিসের কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছেন শিয়ালদা ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ফিনান্স ম্যানেজার। বলা হয়েছে, টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের কাছ থেকে যথাসম্ভব কম কয়েন নিতে হবে। কয়েন নিতে হলেও পরে তা চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। ৫ টাকার টিকিটের ক্ষেত্রে যাত্রীরা যাতে ১ টাকার কয়েন না দেন, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকে। যদিও, একে সাময়িক সমস্যা বলে উল্লেখ করে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, মিউচুয়ালি সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে।
অন্য অশঙ্কাতেও ভুগছে পূর্ব রেল। এই পরিস্থিতিতে অসাধু কাজে জড়িয়ে পড়বেন না তো রেলকর্মীরা? এই বিষয়ে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেখতে হবে, রেলের কোনও কর্মী যাতে কয়েনের বিনিময়ে নোট লেনদেনের অসাধু কাজে জড়িয়ে না পড়েন।