কলকাতা ও নয়াদিল্লি: সিবিআই তদন্ত চলছিলই। এবার নারদকাণ্ডে মামলা রুজু করল আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
ইডি সূত্রে দাবি, আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ১৩ জন ও অন্যান্যর নামে মামলা রুজু করা হয়েছে। যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন-- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, তৃণমূল বিধায়ক ইকবাল আহমেদ এবং আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা।
ইডি সূত্রে দাবি, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তে নেতৃত্বে দেবেন সংস্থার পূর্বাঞ্চলের যুগ্ম অধিকর্তা। আদালতের নির্দেশে আগেই নারদকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
তাহলে কেন আবার সক্রিয় হল ইডি? সংস্থা সূত্রে দাবি, গোয়েন্দারা মনে করছেন, এক্ষেত্রে আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের সেরকমভাবে কিছু করার ছিল না। কিন্তু ইডি-র তদন্তের একটা বৃহত্তর আঙ্গিক থাকবে। তারা টাকার উৎসও খতিয়ে দেখবে।
সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের আয় ও সম্পত্তি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্তদের ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে দাবি। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে, কেন তাঁরা টাকা নিয়েছিলেন? সেই টাকা কোথায় খরচ করা হয়েছে?
নারদকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর পর এবার ইডিও হাত লাগানো, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।