কলকাতা: চারদিনের ব্যবধানে শহরে তিন অস্বাভাবিক মৃত্যু। আবারও সামনে আসছে সেই মানসিক অবসাদের তত্ত্ব। পূর্ব যাদবপুরের বাসিন্দা ধ্রুবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন বছর পঁচাত্তরের বৃদ্ধ। শুক্রবার কেমো থেরাপির জন্য ভর্তি করা হয় সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ কেমো থেরাপির প্রস্তুতি চলছিল। সে সময় রোগীর আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। নার্সদের সঙ্গে রোগী সহযোগিতা করছিলেন না বলেও অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এরই মধ্যে নিজের বেড থেকে উঠে বারান্দার দিকে যান বৃদ্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপরই হাসপাতালের ৭ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন রোগী। একটি শেডের ওপর গিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রোগীর। মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ক্যান্সার মানেই যে মৃত্যু অনিবার্য সবক্ষেত্রে তেমনটা নাও হতে পারে। সঠিক চিকিৎসা হলে ক্যান্সার মোকাবিলা সম্ভব। কিন্তু তা সত্ত্বেও দীর্ঘ রোগভোগের অবসাদ মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্তের দিকে। ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।