কলকাতা: ‘কেউ কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে, যেটা কাম্য নয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টা দেখেই বুঝেছি, গোটা ঘটনাক্রমে ওঁর উপর অযাচিত চাপ বেড়েছিল।‘ ঠিক এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন অশোক ভট্টাচার্য।


রবিবার সকালে মহারাজকে দেখতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে এসেছিলেন শিলিগুড়ির বাম বিধায়ক। হাসপাতালে রাতে থাকা সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। ব্য়ক্তিগতভাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় অশোকবাবুর। কিছুদিন আগেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতি যোগের তীব্র জল্পনার মাঝেই কলকাতায় এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন অশোকবাবু।

যে সাক্ষাতের পর সৌরভকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দিয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। এদিন হাসপাতালে সৌরভের সঙ্গে দেখা করার পর অশোকবাবু বলেন, ‘সৌরভ অন্য জগতের মানুষ, আমরা সবাই চাই ও সেভাবেই সবার প্রিয় হয়ে থাকুক। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছে তাঁকে ব্যবহার করে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা যাবে। এরকম যারা করেছে, গোটা বিষয়টায় একটা চাপ তো তৈরি হয়ই। ওঁর উপরও যে চাপ তৈরি হয়েছিল, যেটা কাম্য নয়।’

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও তাঁর পছন্দের জগতেই থাকতে চান বলেও দাবি করেন অশোক ভট্টাচার্য। কয়েকদিন আগের ব্যক্তিগত স্তরে আলোচনায় সৌরভকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। ‘যে সময় সৌরভ তো আমার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেনি।‘ বলেও জোড়েন অশোকবাবু।

কিছুদিন আগেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর রাজনৈতিক চর্চা। রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত থেকে যা শুরু হয়। দু-পক্ষেই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করা হলেও হঠাৎই জোরদার হয়েছিল মহারাজের রাজনীতি যোগের জল্পনা। যার পরের দিন দিল্লিতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তাঁর মূর্তি উদ্বোধনের মঞ্চে অমিত শাহের সঙ্গে সৌরভের সাক্ষাতে যা আরও জোরদার হয়। যদিও কোনও পক্ষের তরফেই কিছু বলা হয়নি।

তবে গোটা ঘটনাক্রমের পরই অশোক ভট্টাচার্যের সৌরভের বাড়িতে এসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে থাকার পরামর্শে ফের জোর পায় পুরো জল্পনা। যদিও আপাতত সৌরভের অসুস্থতায় আপাতত সেসব পিছনের সারিতে। পাশাপাশি অভিভাবকের সুরে সৌরভের প্রতি অশোকবাবুর পরামর্শ, ‘ভালো হয়ে গিয়েছি মনে করলে চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে সাবধানে থাকতে হবে ওঁকে।’