স্কুল ভেঙে দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি খুব মর্মাহত, লোভের একটা সীমা থাকা উচিত। স্কুল ভেঙে বাড়ি করবে? হয় কখনও? এত কীসের লোভ?
উল্লেখ্য, শনিবার মাঝরাতে বাগুইআটির এই স্কুল গুঁড়িয়ে দিয়েছিল প্রোমোটার বাহিনী। মাত্র চার ঘণ্টায়, ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় স্কুলের ৫টি ক্লাসরুম ও ছাদ! ক্লাসরুমের ছাদভাঙা!
খুদে স্কুল পড়ুয়ারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।
এই ছবি নাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্যবাসীকে। সোমবার এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন স্কুলের পাশে আছে রাজ্য সরকার।
তিনি বলেন, স্কুল ডিপার্টমেন্ট ওই স্কুল ফেরে তৈরি করে দেবে। এসব কাজ আমি কখনই বরদাস্ত করব না।
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, আমায় কিন্তু দুর্বল ভাবার কারণ নেই। যদি কেউ মনে করে আমি করিনি, তাই অন্য কেউ করবে না, এটা হবে না। ভেঙে দেওয়া গুঁড়িয়ে দেওয়াটাকে আমি শেষ করবই। এটা আমার চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ।
মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পর স্কুলজুড়ে খুশির হাওয়া। প্রধান শিক্ষক কৌশিক ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। অভিভাবকরাও আনন্দিত।
এদিন থেকে স্কুলের মর্নিং সেকশনের ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাঙা ছাদে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল। স্কুলে হাজির বেশিরভাগ পড়ুয়াই।
তবে স্কুলের কিছু অংশে এখনও বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে কংক্রিটের চাঁই। যা নিয়ে উদ্বেগে অভিভাবকরা।
এদিন স্কুল পরিদর্শনে যান বিধাননগর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ররা। তাঁদের কাছে দ্রুত স্কুল মেরামতির আবেদন জানান অভিভাবকরা।