জানা গিয়েছে, চলছে রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ নামিয়ে আনার কাজ। সূত্রের খবর, রাজীবের দেহ নিয়ে শেরপারা ক্যাম্প থ্রি থেকে ক্যাম্প টু-এর দিকে রওনা দিয়েছেন।
১১ এপ্রিল কাঠমাণ্ডু থেকে ধৌলাগিরির উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন রাজীব৷ প্রথমে ধৌলাগিরি বেসক্যাম্পে পৌঁছন তিনি৷ সেখান থেকে প্রথমে ক্যাম্প ওয়ান৷ তারপর ক্যাম্প টু৷ ১৯ মে ক্যাম্প থ্রি হয়েই ধৌলাগিরি শৃঙ্গজয় করেন রাজীব৷
কিন্তু, ফেরার সময়ই স্নো-ব্লাইন্ডনেসের শিকার হন তিনি৷ দেখা দেয় অক্সিজেনের সমস্যা। পাশাপাশি,ক্লান্তি গ্রাস করতে থাকে রাজীবকে৷ ধৌলাগিরির বুকে লুটিয়ে পড়েন রাজীব।
এদিকে তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও এভারেস্টের বুকে নিখোঁজ দুই পর্বতারোহী গৌতম ঘোষ ও পরেশ নাথ। উদ্ধার করা যায়নি আর এক পর্বতারোহী সুভাষ পালের দেহ। আবহাওয়া খারাপ থাকায় এখনও পর্যন্ত ক্যাম্প টু-এর উদ্দেশে রওনা দিতে পারেননি শেরপারা। আকাশ পরিষ্কার হলে, তবেই শুরু হবে উদ্ধারকাজ।
এই পরিস্থিতিতে এবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সামনে এসে গেল অভিযান বন্ধের সময়সীমা!
নিয়ম আছে। আইন আছে। কিন্তু, উদ্বিগ্ন মন কি আর এতকিছু মানে! তাই, তার আর্তি, দিক না, আর ক’টা দিন সময়!
পাহাড়ে হারিয়েছে রাজীবের প্রাণ। এভারেস্টের কোলে এখনও লুকিয়ে গৌতমের খবর। একদিকে শোক, অন্যদিকে উৎকণ্ঠা! বুধবার কাঠমান্ডুতে এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি!
এমনই এক অভিযানে, এই তুষার ঢাকা শৃঙ্গেই চিরদিনের মতো হারিয়ে গিয়েছিলেন ছন্দা গায়েন। যাঁর দেহ আজও ঘরে ফেরেনি। কিন্তু প্রিয়জনকে এভারেস্টে ছেড়ে যেতে চান না অন্য অভিযাত্রীদের পরিজনেরা।