কলকাতা: বাজে কদমতলা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন ৩ জন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকার অভিযোগে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গণেশ পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, বিসর্জনের সময় এলাকায় পুলিশের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। তাই দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের সহায়তা পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

গতকাল রাত ১টা নাগাদ ইডেন গার্ডেন্স স্টেশন লাগোয়া বাজে কদমতলা ঘাটে ঠাকুর বিসর্জনের জন্য রেললাইন পার হওয়ার সময় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। অন্ধকারে বুঝতে না পেরে ৯ জন শ্রমিক প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকারে রেললাইনের ওভারহেডের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গণেশের হাত লাগে তারে। সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে পড়েন বাপি মণ্ডল নামে এক শ্রমিক। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিমার একাংশে আগুন লেগে যায়। লোহার ট্রলিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন আরও ৯ জন। তাঁদের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে হাসপাতালে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মারা যান পুজো উদ্যোক্তা, মাছ ব্যবসায়ী বিমল সাহানি। ৭ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি।

পুজো উদ্যোক্তারা অভিযোগ করেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের জায়গায় যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন ছিল না। দুর্ঘটনার পর দমকল ও পুলিশ আসতে দেরি করেছে, সঠিক সময়ে পাওয়া যায়নি অ্যাম্বুলেন্সও। দেহ আটকে রেখে পুলিশকে ঘিরে ধরে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। খবর পেয়ে ডিসি সাউথ প্রবীণ ত্রিপাঠী আসেন। তাঁর সামনেই পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

এর মধ্যে দমকল এসে প্রতিমার আগুন নেভায়। পুলিশই প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করে।