কলকাতা: জি ডি বিড়লাকাণ্ডের তদন্তে এবার লালবাজার। স্কুলে চার বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত দুই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তার একদিন পরই এই ঘটনার তদন্তভার নিল কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে দাবি, এই ঘটনা খতিয়ে দেখবে ওমেন গ্রিভ্যান্স সেল। যাদবপুর থানা থেকে মামলা সংক্রান্ত নথিও নেওয়া হবে।
নির্যাতিত শিশুর পরিবার এই ঘটনায় অধ্যক্ষাকেও গ্রেফতারের দাবি তুলেছে। এদিন যাদবপুর থানায় অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে তথ্যগোপনের অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা। শিশুর বাবার দাবি, অধ্যক্ষাকে গ্রেফতার করতে হবে।
একই সুর শিশু সুরক্ষা কমিশনেরও। তাদের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, চার বছরের শিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অবিলম্বে জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের অধ্যক্ষার গ্রেফতারি দাবি করছেন। তিনি ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এবং যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) বিশাল গর্গের কাছেও পকসো আইনে অধ্যক্ষার গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন। যাঁরা এই ঘটনায় সাহায্য করেছে বা প্ররোচনা জুগিয়েছে, তাঁরাও সমানভাবে দায়ী। তাঁদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।
এরপরই, জিডি পিড়লা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। পকসো আইনে মামলা দায়ের হয় প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। একাধিক অভিযোগ অধ্যক্ষা শর্মিলা নাথের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালেও এই স্কুলে এক ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। অভিভাবকদের দাবি, তারপরও ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, মেয়েদের স্কুলে পুরুষ শিক্ষক কেন থাকবে? উঁচু ক্লাসের ছাত্র ও ছাত্রীদের কেন একই শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে?
বিষয়টি নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন শিক্ষামন্ত্রীও। একদিকে চলছে আন্দোলন। অন্যদিকে, তদন্ত। সব মিলিয়ে জি ডি বিড়লাকাণ্ড ঘিরে ক্রমশ চড়ছে উত্তাপ।