কলকাতা: নির্ভয়কাণ্ডের চার বছরের মাথায়  দিল্লিতে গাড়িতে তুলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ। আর এর ঠিক তিন দিনের মাথায় এ রাজ্যে ঘটে গেল আরেকটি ঘটনা! অনলাইন ক্যাবে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ রাজারহাটে। রাতভর ঘুরিয়ে তাকে নির্জন জায়গায় নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয় ২ অভিযুক্ত।


শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ রাজারহাট থানা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী শৌচকর্ম করার জন্য বাড়ির বাইরে এসেছিল। সেখানে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল  অনলাইন ক্যাবের একটি গাড়ি। পরিবারের দাবি, আচমকা মুখ চেপে ধরে বছর পনেরোর ওই কিশোরীকে জোর করে গাড়িতে তোলে এক যুবক। গাড়িতে তখন আরও একজন বসে ছিল।


নাবালিকাকে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে রাজারহাট ও নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িটি ঘোরে। চলন্ত গাড়িতে তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। মুখ চেপে ধরে রাখায় এক সময় সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল কিশোরী। জ্ঞান ফিরলে ভোররাতে চিনার পার্কের এক জায়গায় কিশোরীকে নামিয়ে দেয় তারা।


স্থানীয়দের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন জোগাড় করে কোনওমতে বাড়িতে খবর দেয় নাবালিকা। পরে আত্মীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। কিশোরীর বয়ান নেন তদন্তকারীরা।


পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত রকি কিশোরীর পরিচিত। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে তাদের আলাপ হয়। তারপর থেকে কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করত সে।


এই ঘটনায় শ্লীলতাহানি ও অপহরণ, একই উদ্দেশে অপরাধ সংগঠিত করার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সব রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।


গত অগাস্টে একই রকম একটি ঘটনায় বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল কলকাতার নারী নিরাপত্তা। ব্রোবোর্ন রোডের ফুটপাথবাসী এক নাবালিকাকে জোর করে গাড়ি তুলে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।গাড়ির মধ্যেই নির্যাতিতাকে গলা টিপে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয় তপসিয়া খালে।


এবার নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রাজারহাটের নিরাপত্তা!


কিশোরীকে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে একটি গাড়ি এলাকা চষে ফেলল, অথচ সেটা কারও নজরে এল না! কী করছিল পুলিশের টহলদারি ভ্যান? উঠছে প্রশ্ন।